তিন স্টার্টআপের সাথে জিপির পার্টনারশিপ

গ্লোবাল-ফার্স্ট’ বাংলাদেশি উদ্যোগসমূহের অগ্রগতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ আজ মঙ্গলবার দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে অগ্রণী তিন প্রতিষ্ঠান, বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইটক্যাসেল পার্টনারস ও আপস্কিলের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। গতকাল জিপি হাউজে পার্টনারশিপ নিয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ সফলভাবে সম্পন্ন করতে গ্রামীণফোনের সাথে যুক্ত হয়েছে এ তিনটি স্টার্টআপ। ১২ মাসব্যাপী জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশের সেরা স্টার্টআপগুলোকে খুঁজে বের করা হবে এবং দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরিতে স্টার্টআপগুলোকে বিনিয়োগ পেতে সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি এদেরকে বাজার পরিসর বিস্তৃতি এবং দেশের বাইরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক কার্যক্রম সম্প্রসারণেও সাহায্য করা হবে। জাতীয় আউটরিচ প্রোগ্রাম ও ডিজাইন থিংকিং বুট ক্যাম্পের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোকে খুঁজে বের করা হবে। তিনটি স্টার্টআপের এ কনসোর্টিয়াম মূলত কোভিডের ফলে উদ্ভূত ‘গ্লোবাল-ফার্স্ট’ বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলোকে এগিয়ে নিতে নতুন আঙ্গিকে কাজ করে যাবে।

গ্রামীণফোনের উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যের ক্ষেত্রে শুরুতেই রয়েছে জিপি অ্যাকসেলেরেটর। ২০১৫ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে, জিপি অ্যাকসেলেরেটর সেবা.এক্সওয়াইজেড, বাড়িকই, ডাক্তারকই, ঢাকাকাস্ট এবং ক্র্যামস্ট্যাক সহ ৪৪টি স্টার্টআপের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। নতুন করে ডিজাইন করা প্রোগ্রামটি স্টার্টআপগুলোকে গ্রামীণফোনের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল, প্রোগ্রাম চলাকালীন প্রতি মাসে দশ গুণ প্রবৃদ্ধির চেষ্টা এবং প্রতিভা যুক্ত করা ও আঞ্চলিক বাজার অধিগ্রহণের গতি বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য হারে মূলধন বৃদ্ধিসহ নানা সুবিধা পেতে সহায়তা করবে।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চিফ প্রকিউরমেন্ট অফিসার আবুল কাসেম মহিউদ্দিন আল আমিন এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ বিজনেস অফিসার কাজী মাহবুব হাসান এবং হেড অব ইনোভেশন ফারহানা ইসলাম। অন্যদিকে, কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন আপস্কিলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের চিফ স্টোরিটেলার মিনহাজ আনোয়ার এবং লাইটক্যাসেল পার্টনারসের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভদাদ আহমেদ খান মজলিস।

গ্রামীণফোনের চীফ ডিজিটাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজি অফিসার সোলায়মান আলম বলেন, উদ্ভাবক, প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্যোক্তাদের যখন আমাদেরকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, ঠিক সে সময় জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামটি পুনরায় আয়োজন করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। জিপি অ্যাকসেলেরেটর বাংলাদেশে উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এবং আমাদের পার্টনার ও দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দ্বারা এর প্রবৃদ্ধি দেখে আমরা রোমাঞ্চিত। যেসব বাংলাদেশি উদ্যোক্তা তাদের উদ্যোগকে বৈশ্বিক বাজারে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে চায়, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের তিন উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের সাথে একসাথে কাজের মাধ্যমে আমরা সেসব উদ্যোগকে আমাদের অ্যাসেট ও রিসোর্স দিয়ে সহায়তা করবো।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.