মানবপাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অমি

দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে ভালো চাকরির কথা বলে শত শত মানুষকে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন মো. তুহিন সিদ্দিক অমি (৩৩) ও তার সহযোগীরা। এভাবে তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

এর আগে শনিবার রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় অমি ও তার সহযোগী মানবপাচার চক্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। পরে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই মামলায় সিআইডি এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩৬), সালাউদ্দিন (৩৫), মুসা (২৬), রাকিবুল ইসলাম রানা (৩৩), গোলাপ হোসেন বুলবুল (৩৪), জাকির হোসেন (৩৪), নাজমুল (২৫), আলম (৩৫), ও শাহজাহান সরকার (৪৩)।

চিত্রনায়িকা পরী মনিকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ১৪ জুন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তুহিন সিদ্দিকী অমি।

এ বিষয়ে ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে অভিযান পরিচালনা করে মানবপাচার চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯৫টি পাসপোর্ট, পাচারকারী চক্রের মূলহোতা মো. তুহিন সিদ্দিক অমির চারটি বিলাস বহুল গাড়ি, ২২টি কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক, সম্পত্তির দলিল, ক্রেডিট কার্ড, অলিখিত স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ব্যাংক কার্ড, পেনড্রাইভ ও মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, অমি ও তার সহযোগীরা শত-শত লোকজনকে অধিক বেতনে বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করে। এই মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ভিকটিমদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাকরি না দিয়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এছাড়াও আরও অনেক নিরীহ সরল লোকদের দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি ভিকটিমদেরকে যথাযথ পদ্ধতিতে বিদেশ পাঠায়নি বলে তারা কাজ পাচ্ছেন না। ফলে ভিকটিমরা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.