ফেসবুকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পোস্ট দেখে পরিকল্পনামন্ত্রীর পাল্টা স্ট্যাটাস

সুনামগঞ্জের সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে না জানিয়ে ওই এলাকায় রেললাইন স্থাপন প্রকল্পে রুট যাচাইয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে চিঠি দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

রোববার (২০ জুন) ‘পরিকল্পনামন্ত্রীর দফতর’ নামে একটি ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি তার বন্ধু মোমেনকে নিয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানান। ওই পেজটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিচালনা করা হয়।

পোস্টে পরিকল্পনামন্ত্রী লিখেছেন—
‘এটা সত্য যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন এবং আমি ৫০ বছরের বন্ধু। কিন্তু জাতীয় পার্টির একজনসহ সুনামগঞ্জের মোট পাঁচজন এমপিকে সমর্থন করে রেলমন্ত্রীর কাছে তিনি যে ডিও দিয়েছেন, তা আমাকে বিস্মিত করেছে। তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) খুব ভালো করে জানেন আমি সুনামগঞ্জের সংসদ সদস্য। সুনামগঞ্জের সঙ্গে রেল যোগাযোগের বিষয়টি আমারও বিষয়। এ বিষয়ে আমি তার চেয়ে ভালো জানি। আমি মনে করি না তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) তার দীর্ঘ বর্ণময় জীবনে কখনও সুনামগঞ্জের মাটিতে পা রেখেছেন। অন্য কোনো পক্ষ নেওয়ার আগে আমার সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। আমার দীর্ঘ ৫০ বছরের বন্ধু ও মন্ত্রিপরিষদের সহকর্মী বন্ধুর কাছ থেকে এমন আচরণ আশা করা যায় না।’

সুনামগঞ্জ জেলার গোবিন্দগঞ্জ থেকে দক্ষিণ ছাতক এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ হয়ে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনে কিছু দিন আগে স্থানীয় ৫ সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এর আগে গত ১৪ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক ফেসবুকে পোস্টে লিখেছিলেন— মান্নান আমার বন্ধু, মান্নানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ৫০ বছরের অধিক। আমি এবং মান্নান সুখে-দুঃখে সবসময়ই ছিলাম এবং আছি, ভবিষ্যতেও আমৃত্যু থাকব বলেই আশা করি। দুঃখজনক যে সিলেটের একটি স্থানীয় সংবাদপত্রে দেখলাম আমার এবং মান্নানের মধ্যে নাকি দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং এই দ্বন্দ্বের কারণে নাকি সিলেটের অনেক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে! কে বা কারা এই সংবাদটি প্রচার করছেন জানি না, তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যে বা যারা এটি প্রচার করছেন, তারা হয়তোবা কোনো বিশেষ বা অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য করছেন। ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসটির প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না, তবে একটি বিশেষ কারণে দিচ্ছি, আর তা হলো— আমার এবং মান্নানের স্থানীয় অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, আর তাদের মধ্যে যাতে কোনো বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.