মেঝেতে স্কুলশিক্ষিকার লাশ, ফ্যানে ঝুলছিল গৃহকর্মীর

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়াইরগাঁও এলাকায় একটি ঘরের ভেতর থেকে এক স্কুলশিক্ষিকার গলাকাটা ও তার গৃহকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত দুজন হলেন স্কুলশিক্ষিকা তপতী রানী দে (৬০) ও বাড়ির গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্য। শনিবার (১৯ জুন) রাত ১২টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তপতী রানি সোয়ারগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তিনি চিকিৎসক বিজয় ভূষণ দের স্ত্রী। গৌরচান বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মোহন লাল বিশ্বাসের ছেলে।

সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, তপতী রানির ছেলেও চিকিৎসক। তারা পেশাগত কাজে বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তপতী ও গৌরাঙ্গই ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন বলেন, রাত ৯টার দিকে তপতীর ছেলে বিপ্লব দে বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ বাড়ির বাথরুমের জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মেঝেতে তপতীর রক্তাক্ত মরদেহ পায়। পাশে ফ্যানের সঙ্গে গৌরাঙ্গর মরদেহ গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছিল।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.