‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা’

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনিসুর রহমান বলেছেন, ‘কেউ গ্যাসের অপচয় করবেন না, অবৈধ সংযোগ নেবেন না। কেউ গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করবেন, আর কেউ বৈধভাবে টাকা দিয়েও গ্যাস পাবেন না এটা হতে পারে না। কোনো কারচুপি সহ্য করা হবে না। যারা অবৈধ সংযোগ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আজ শনিবার (১৯ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন সিনিয়র এই সচিব।

তিনি আরও বলেন, ‘একটা সময় ছিল গ্যাস সংযোগ বা রেজিস্ট্রেশন করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হতো, এখন সেসব ভোগান্তি নেই। বিডা এক ছাতার নিচে সব সেবা দিচ্ছে, আমরাও সেটা করার চেষ্টা করছি। গ্যাসের চুরি রোধে আমরা প্রিপ্রেইড মিটার দিচ্ছি, জাপানি কোম্পানি এ মিটার সরবরাহ করছিল। এখন দেশি কোম্পানি তৈরি করবে। এতে চুরি রোধ করা যাবে। আমরা অবৈধ সংযোগ নিয়ে অভিযানে যাচ্ছি, এটা চলমান আছে। করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা ৫০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা পরিবেশবান্ধব গ্রেটিং নিয়ে কারখানা তৈরি করবেন। সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ, কোটি কোটি টাকার রেভিনিউ অর্জন। এরপরেও কীভাবে আপনারা গ্যাস লাইন নিয়েও কারচুপির আশ্রয় নেন।’

এলএনজি নিয়ে সচীব বলেন, ‘এলএনজির ব্যবহারের সঙ্গে সব কিছুই সহজ হবে, নতুন নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রতিবেশী দেশ থেকে এখন আমাদের এলএনজির খরচ বেশি হলেও তা কমে আসবে। আমরা ছোট জাহাজে এলএনজি আমদানি করি, এজন্য খরচ বেড়ে যায়। মাতারবাড়ি প্রকল্প সম্পন্ন হলে, সেখানে বড় বড় জাহাজ ভিড়বে। এতে এক জাহাজে বেশি বেশি এলএনজি আসবে তখন খরচ এক-তৃতীয়াংশ কমে আসবে। আমাদের গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান করতে হবে এটা নাহলে আগামী ২/৩ বছর পর কি হবে বলা যাচ্ছে না। তবে আশা করছি- নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র আমরা পাবো। সব গ্যাসক্ষেত্র পূর্বাঞ্চলে হওয়ায় পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে হয়তো বৈষম্য হয়ে যাচ্ছে। তবে পশ্চিমের জন্য কিছু করতে চাই। এটা হতে পারে- পায়রাবন্দর দিয়ে পাইপলাইনে বরিশাল হয়ে খুলনা যাবে। আবার ভেড়ামারা হয়ে সিরাজগঞ্জে আনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে কেউ গ্যাসের অপচয় করবেন না, অবৈধ সংযোগ নেবেন না।‘

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ভার্চুয়াল এই সভাটি পরিচালনা করেন ডিসিসিআই সভাপতি রেজওয়ান রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে উপস্থিথ ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য (গ্যাস) মো. মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানসহ শিল্পোদ্যোক্তা ও ডিসিসিআই নেতারা।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.