রাজধানীতে করোনা রোগীর ৬৮% ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত

সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে খোদ রাজধানীতে হানা দিতে শুরু করেছে ডেল্টা নামে অভিহিত করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন। ক্রমেই এই ধরনের (Variant) প্রকোপ বাড়ছে ঢাকা। সর্বশেষ এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর করোনা রোগীদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (ICDDRB) এর এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ ও জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে (১৪ দিন) রাজধানীর করোনা-আক্রান্তদের মধ্য থেকে ৬০ জন রোগীর ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্সিং করে আইসিডিডিআরবি। তাতে ৬৮ শতাংশ নমুনায় ভারতীয় ধরন পাওয়া যায়।

উল্লেখ, এখন পর্যন্ত বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) যতগুলো ধরন চিহ্নিত হয়েছে, তার মধ্যে ভারতীয় ধরনটি সবচেয়ে ভয়ংকর বলে প্রমাণ পেয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। এই ধরনটি অন্যান্য ধরনের চেয়ে অধিক সংক্রামক। অন্যদিকে সংক্রমণের পর অল্প সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে কাবু করে ফেলে। এই ধরনের ক্ষেত্রে কোনো কোনো টিকার কার্যকারিতাও কম।

ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেওয়ে বিপুল মৃত্যু ও রেকর্ড সংক্রমণের জন্য করোনার এই ধরনটিকে দায়ী করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা করলেও দেশটিতে ভারতীয় ধরন ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতির পেছনেও ভারতীয় ধরনের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যায় সিকুয়েন্সিং করা হয়নি বলে তা নিশ্চিত করা যায়নি।

এতিদন সীমান্ত অঞ্চলের তুলনায় রাজধানী ঢাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের ঘটনাও ছিল আঙ্গুলে গোনা। কিন্তু আইসিডিডিআর,বির আলোচিত গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে, করোনা নিয়ে রাজধানীতে স্বস্তির সময় দ্রুতই কমে আসছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে থাকায় যে কোনো সময় রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি চরম অবনতির দিকে চলে যেতে পারে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.