বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা: কাদের

বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেতে ফখরুল সাহেবরা রঙিন চশমার ফাঁক দিয়ে রঙিন খোয়াব দেখছেন।

আজ বুধবার (০৯ জুন) সকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব তথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৫ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারতে চেয়েছিল। দলীয় লোককে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়ে বিএনপি ওয়ান ইলেভেনের প্রধান কারণ সৃষ্টি করেছিল।

‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের এমন নির্লজ্জ বক্তব্য শুনলে জনগণ হাসে। হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে বিএনপিই গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল।

১৮৭৮ সালে সামরিক উর্দি পরে অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে সরিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিল, বিএনপি নেতাদের স্মরণ করে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির গণতন্ত্র ছিল কারফিউ গণতন্ত্র। ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন কোন গণতন্ত্র?

বিরোধী দল হিসেবে গণতন্ত্রের বিকাশে বিএনপি কি ভূমিকা রেখেছে জাতি তা জানতে চায় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বশেষ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়ে দলীয় লোক কে এম হাসানকে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে চেয়েছিল বিএনপি। সেই পরিস্থিতিই বাংলাদেশে ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টির মূল কারণ।

তিনি বলেন, সংবিধান সম্মতভাবে পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো যথাসময়ে নির্বাচন হবে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে আগামী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি কি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন চায়? তারাতে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের দুঃস্বপ্ন দেখেছে?

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.