রেমিটেন্সে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা

বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা আরও এক বছর অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বৈধ পন্থায় প্রবাস আয় প্রেরণকে উৎসাহিত করতে আগামী অর্থবছরেও এ খাতে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।”

বিভিন্ন দেশে থাকা এক কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিডিপিতে সবমিলিয়ে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মত।

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে এই নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কায় বৈদেশিক শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হলেও এই সময়ে আশার আলো জ্বেলে রেখেছে প্রবাসীকর্মীদের পাঠানো কষ্টার্জিত টাকা। এক্ষেত্রে ওই নগদ প্রণোদনারও ভূমিকা রয়েছে বলে সরকারের ভাষ্য।

বিএমইটির হিসাব বলছে, মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফেরত আসতে হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ৪০৮ জন প্রবাসীকর্মীকে। ‍চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা ৬ হাজার ৬৮২ জন। এর বিপরীতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১ জুন পর্যন্ত বিদেশে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫৪১ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে।

২০২০ সালেও ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী।

প্রবাসী কর্মীদের দুর্দশার বিপরীতে চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে রেকর্ড ২২.৭৫ বিলিয়ন ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪০.১ শতাংশ।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, “কোভিড -১৯ মহামারীকালে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দাজনিত কারণে রপ্তানি বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তখন প্রবাস আয়ের এ অভাবনীয় সাফল্য আমাদেরকে স্বস্তির মধ্যে রেখেছে।”

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে বিশেষ প্যাকেজ চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.