বিশ্বে করোনায় আরও ১১ হাজার মৃত্যু

মহামারি করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে কাবু বিশ্ববাসী। যত দিন যাচ্ছে তত ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস। প্রতিদিন বেড়েই চলছে মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তও হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন ভারতীয় ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো কাটেনি আতঙ্ক।

গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজার ২৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৮ জন।

আজ রোববার (৩০ মে) সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ১৭ কোটি ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৬ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮২ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ কোটি ২৬ লাখ ৪ হাজার ৪৯ জন।

বিশ্বে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৪০ লাখ ৩৫ হাজার ৩১৮ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৪২১ জনের।

তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৮ জনের।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ কোটি ৬৪ লাখ ৭১ হাজার ৬০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৬১ হাজার ১৪২ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন এক লাখ ৯ হাজার ৩৫৮ জন।

এ তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ হাজার ২৭১ জন।

এদিকে আক্রান্তের তালিকায় রাশিয়া ষষ্ঠ, যুক্তরাজ্য সপ্তম, ইতালি অষ্টম, জার্মানি নবম এবং স্পেন দশম স্থানে রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম, যেখানে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৯ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ওই বছরেরই ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.