করোনা: ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত কমলেও মৃত্যু বেড়েছে
করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এর মধ্যে গতমাসে দেশে হঠাৎ করেই করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুতে ব্যাপক উল্লম্ফন হয়। তবে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে শনাক্ত কিছুটা কমেছে, একইসঙ্গে কমেছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে, তবে এ সময় মৃত্যু কিছুটা বেড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক হাজার ৪৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ৭ এপ্রিল করোনা রোগী শনাক্ত হয় সাত হাজার ৬২৬ জন। যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড।
আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ১৩৫৮, ১২৯২, ১৪৯৭, ১৬৭৫, ১৪৪১, ১৩৫৪ ও ১০২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ১৪ হাজার ৬০৬টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৮টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
আজ শনিবার (২৯ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
একনজরে দেশের করোনার চিত্র
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ১০৪৩ জন
মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৭৯৭৩৮৬ জন
২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৩৮ জনের
মোট মৃত্যু হয়েছে: ১২৫৪৯ জনের
২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ১০৮৭ জন
মোট সুস্থ হয়েছেন: ৭৩৭৪০৮ জন
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জন মারা গেছেন। ১৯ এপ্রিল করোনায় মারা যান ১১২ জন, যা এযাবতকালের সর্বোচ্চ মৃত্যু। এর আগে ১৮ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০২ জন। এছাড়া ২৫, ১৭ ও ১৬ এপ্রিল দেশে করোনায় মারা যান ১০১ জন।
গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৩১, ২২, ১৭, ৪০, ২৫, ২৮ ও ৩৮ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৪৯ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও এক হাজার ৮৭ সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
অর্থসূচক/কেএসআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.