সংসার ভেঙে গেলো মাহির

গুঞ্জনটা অনেক দিনের। গেল ক’দিন ধরে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নানা বার্তাও দিচ্ছিলেন ঢাকাই ছবির অন্যতম নায়িকা মাহিয়া মাহি।

তবে সেটি যে এই গভীর রাতে এতোটা স্পষ্ট করে জানাবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিলো না তার ঘনিষ্ঠরাও। শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে (২৩ মে) মাহি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষটার সাথে থাকতে না পারাটা অনেক বড় ব্যর্থতা।’

স্পষ্টতই বোঝা যায়, এখানে তিনি ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে দাবি করেছেন তার স্বামী পারভেজ মাহমুদ অপুকে।

সংসার বিচ্ছেদের বিষয়টি মাহি তার পোস্টে আরও স্পষ্ট করেন স্বামী পক্ষের প্রতি স্মৃতিকাতর হয়ে, ‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শ্বশুর বাড়ির মানুষগুলোকে আর কাছ থেকে না দেখতে পাওয়াটা, বাবার মুখ থেকে মা জননী, বড় বাবার মুখ থেকে সুনামাই শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলাটা সবচেয়ে বড় অপারগতা।’

এমন ঘটনায় ‘ফ্রি বার্ড’ নয়, বরং নিজেকে অপরাধী মনে করছেন ঢালিউডের ‘অগ্নি’-খ্যাত মাহি। শ্বশুর বাড়ি কিংবা স্বামীর প্রতি তার আবেদন, ‘আমাকে মাফ করে দিও। তোমরা ভালো থেকো। আমি তোমাদের আজীবন মিস করবো।’

এদিকে এমন পোস্টের সত্যতা জানতে চাইলে মাহি বললেন, ‘বিষয়টি সত্যি। তবে অনুরোধ করবো নেতিবাচক কিছু না লেখার জন্য। আমি চাই পরস্পরের সম্মানবোধটা বাঁচুক।’

গেল ক’দিন ধরেই মাহি নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মনের ভেতরে চলা যুদ্ধের নানাবিধ বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। শনিবার (২২ মে) বিকালে তিনি লিখেছেন- ‘Sometimes self respect is important than the relationship’। ১৬ মে লিখেছেন- ‘এরপরও আমরা দুজন মুখোমুখি হবো, কেউ কারও দিকে না তাকিয়েও পেট ভরে দু’জন দু’জনকে দেখবো, ঘ্রাণ নেবো, স্পর্শ করবো।’ ১২ মে অপুর সঙ্গে দু’টি ঘনিষ্ঠ ছবি প্রকাশ করে লিখেছেন- ‘গত ৮৬৪০০ মিনিট ধরে ভাবছি তোমাকে নিয়ে গুনে গুনে ৫১টা লাইন লিখবো। কিন্তু কিভাবে যে লিখবো, ঠিক কোত্থেকে শুরু করবো সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা। আচ্ছা আমি কি আর কোনোদিন গুছিয়ে কথা বলাটা শিখবো না তাইনা? তুমি তো আমাকে কিছুই শিখাতে পারলা না, এটাকি ঠিক?’

২০১৬ সালের ২৫ মে মাহি-অপু জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.