এবার যুক্তরাজ্যের কাছে টিকা চাইল বাংলাদেশ

ভারত টিকা রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় তৈরি হওয়া সংকট মেটাতে যুক্তরাজ্যের কাছে জরুরি ভিত্তিতে টিকা সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন আইটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের টিকা পরিস্থিতিকে সংকট আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘টিকা পেতে আমরা মরিয়া।’

আজ শনিবার (২২ মে) যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত ভয়ংকর সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। দেশটির করোনা পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। আমরা এই পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। ফলে তারা যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।

আইটিভির খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষকে অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, যাদের ১২ সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা। কিন্তু সেরামের কাছ থেকে টিকা না আসায় ১৬ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।

আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১৬ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সরাসরি যুক্তরাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই পরিমাণ টিকা চেয়েছে। কিন্তু তাদের টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা নেই বলে বাংলাদেশের এই আবেদন খারিজ করেছে ব্রিটিশ সরকার।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাজ্য সরকার চেষ্টা করলে এই পরিমাণ টিকার ব্যবস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করে। তাদের উচিত, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের ভালো বন্ধু। অনেক বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। তাই যুক্তরাজ্যের উচিত এগিয়ে আসা।

ড. মোমেন বলেন, আমরা অনেক টিকা চাইছি না। আমরা শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১৬ লাখ ডোজ চাইছি। যে টিকা যুক্তরাজ্যের আছে।

দ্বিতীয় ডোজের ঘাটতি মেটাতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও জরুরিভাবে ১৬ লাখ টিকা চেয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কিছু টিকা দিতে রাজি হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.