বুধবার থেকে ঈদের ছুটি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি আগামীকাল বুধবার (১২ মে) থেকে শুরু হচ্ছে। তাই ঈদের আগে আজ মঙ্গলবারই (১১ মে) হচ্ছে শেষ কর্মদিবস।

নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হলে তিন দিন আর ৩০ দিনে শেষ হলে ঈদের ছুটি থাকে চার দিন। এবারের ঈদের একদিন ছুটি পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে। রোজা ৩০টি হলে শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির দিনও ঈদের ছুটি থাকবে।

এদিকে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলমান বিধিনিষেধ (লকডাউন) বহাল থাকবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।
বিধিনিষেধের নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে। সীমিত পরিসরে হয়েছে ব্যাংক লেনদেন। জেলার মধ্যে চলছে বাস। আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বন্ধ আছে ট্রেন ও লঞ্চ। খোলা রয়েছে শিল্প-কারখানা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রয়েছে।

বিধিনিষেধের শুরুর দিকে সরকারি অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত জোরালোভাবে কার্যকর ছিল। গত ৫ মে থেকে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পর থেকে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কার্যক্রম বেড়েছে। তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি বেড়েছে।

গত ৫ মে’র মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে (অধিক্ষেত্রে) অবস্থান করবেন।

এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, এবার ঈদের ছুটি তিন দিনের বেশি দেওয়া হবে না। আর এ ছুটিতে কর্মস্থলও ত্যাগ করা যাবে না। এ সিদ্ধান্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও শিল্প-কারখানার কর্মরতদের জন্য প্রযোজ্য।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার ছুটি তিন দিনই থাকছে। কেউ এর বাইরে ছুটি দিতে পারবে না, এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি সবক্ষেত্রে নির্দেশনা দেওয়া আছে।

ঢাকা করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল এলাকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিকরা যদি ঈদের সময় অন্য জায়গায় চলে যায় তবে ম্যাসাকার হবে। সেজন্য আমরা চাচ্ছি সবাই কর্মস্থলেই থাকুক। লোকজন মুভ করলে করোনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.