জুমাতুল বিদায় আল-আকসায় ইসরায়েলি হামলা, ১৬৩ মুসল্লি আহত

জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদ আল-আকসায় শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাদের হামলার পর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি মুসল্লি আহত হয়েছেন। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ৬ ইহুদিবাদী ইসরায়েলি সেনাও আহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

অবৈধভাবে ফিলিস্তিনিদের বসতি উচ্ছেদে জেরে আল-আকসায় মুসল্লিদের তাড়িয়ে দিতে চাইলে প্রথমে ইহুদি সেটেলারদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলিবর্ষণ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গুরুতর আহত ও গুলিবিদ্ধ ৮৮ জন ফিলিস্তিনিকে জেরুজালেম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার (০৭ মে) রমজানের শেষ জুমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হন। অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের কবলেপড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেন তারা।

চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শেখ তাইসির আবু সুনাইনাহের শুক্রবারের খুতবায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়টিই বেশি স্থান পেয়েছে। শেখ জাররাহ গ্রামের অধিবাসীদের তিনি বলেন, বাড়িতে আপনারা অবিচল ও সহনশীল থাকবেন। তিনি সবাইকে ধৈর্যহারা হতে না করেন।

জুমার পর উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজারো মুসল্লি আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ সময়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, জীবন দিয়ে হলেও আমরা আল-আকসাকে উদ্ধার করব।

ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ অবৈধভাবে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার আশঙ্কায় প্রতিদিনই উত্তেজনা বাড়ছিল।

আল-আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান, তবে এটি ইহুদিদের কাছেও একটি পবিত্র স্থান, যাকে তারা টেম্পল মাউন্ট হিসেবে জানেন। এই স্থানটিতে এর আগেও একাধিকবার সহিংসতা হয়েছে, যা আবার দেখা গেল শুক্রবারও।

এদিকে শুক্রবারের সহিংসতার পর সবাইকে উত্তেজনা প্রশমন করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। সেই সঙ্গে জেরুজালেমের শাইখ জারাহ এলাকা থেকে উচ্ছেদের হুমকিতে ক্ষোভও বাড়ছে।

জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন যেকোনো ধরনের উচ্ছেদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা হয়। বিক্ষোভকারীদের প্রতি যেন সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়- এ আহ্বানও জানান তিনি।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.