সুন্দরবনে আবারও আগুন

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দাসে ভারানি এলাকায় আবারো আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার (০৪ মে) আগুন নিভানো স্থানের দক্ষিণ পাশে আজ বুধবার (০৫ মে) সকাল ১০টার দিকে ফের আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মোরেলগঞ্জ স্টেশন কর্মকর্তা সঞ্জয় দাস বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ভোলা নদী থেকে ২৫টি ডেলিভারি পাইপ লাগিয়ে আগুন লাগার স্থান পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আগুনের স্থানে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভাতে সক্ষম হব আশা করি। সোমবার যেখানে আগুন লেগেছিল, এবারের আগুন তার থেকে কিছুটা কাছাকাছি স্থানে বলে জানান তিনি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সোমবার যে স্থানে আগুন লেগেছিল তার পাশে ধোয়ার মতো দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। সুন্দরবনের বনরক্ষী ও কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছে। চেষ্টা চলছে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার।

এর আগে তিন মাসের ব্যবধানে গত সোমবার (০৩ মে) সকালে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টে দাসের ভারণী টহল ফাঁড়িসংলগ্ন বনে আগুন লাগে। ক্রমেই তা আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩১ ঘণ্টা চেষ্টার পর সুন্দরবনে লাগা আগুন নেভানো সম্ভব হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় আগুন নেভানো কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তারা।

ফায়ার ব্রিগেড সূত্র জানায়, যে এলাকায় আগুন লাগে তা দুর্গম হওয়ায় এবং কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাইপলাইন বসাতে এই দীর্ঘ সময় লেগে যায়। প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে মরা ভোলা নদীতে পাইপ বসিয়ে সেখান থেকে পানি নিতে হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলার তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। ড্রোনের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ড এলাকা পর্যবেক্ষণ করে আগুন নেভাতে সহযোগিতা করে বন বিভাগ। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু করেছে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি।

পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন সোমবারের অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। অল্প পরিমাণ বনের ছোট গাছপালা, লতাগুল্ম পুড়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা সম্ভব হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.