নন্দীগ্রামে হারলে কি মমতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন?

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ২৯২টি আসনের ভোটগণনা চলছে। তবে সবার নজর নন্দীগ্রামে। হাই-প্রোফাইল এ আসনে একাদশ রাউন্ডের ভোটগণনা শেষে এগিয়ে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।

তবে এখনো চূড়ান্ত ফল আসেনি। ফলে তৃণমূল শিবিরে চিন্তা রয়েই গেছে। গোটা রাজ্যে মমতা দ্রুত গতিতে আগাতে থাকলেও সামনে এসেছে একটি প্রশ্ন। তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলেও মমতা যদি হেরে যান তাহলে কী মুখ্যমন্ত্রী থাকতে পারবেন?

কলকাতাভিত্তিক আনন্দবাজার পত্রিকা ও এবিপি আনন্দের হিসেবে ক্ষমতাসীন তৃণমূল বর্তমানে ২০৭ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর মোদি-অমিত শাহের ব্যাপক প্রচারণার পরও বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৭১ আসনে। বিজেপির জন্য এখনও একমাত্র স্বস্তির খবর নন্দীগ্রাম। সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী থেকে ‘বিশ্বাসঘাতকে’ পরিণত হওয়া শুভেন্দু অধিকারী সমানে সমান লড়ছেন মমতার সাথে।

ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ১৬৩ ও ১৬৪ অনুযায়ী, কাউকে মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হতে চাইলে বিধানসভার সদস্য হতে হবে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যের বিধানসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতারাই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। আরও বলা হয়েছে, টানা ছয় মাস মন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে তাকে রাজ্যের কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। অন্যথায় ১৮০ দিন পর তার পদ বাতিল হয়ে যাবে।

সংবিধানের এসব ধারা অনুযায়ী, তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা ধরে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান তাহলে তিনি অন্য কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে ৬ মাস সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে দলের কোনও এক সদস্যকে পদত্যাগ করে তার আসনটি শুন্য করে দিতে হবে। আর সেখান থেকেই নির্বাচন করে রাজ্যের ২৯৪ আসনের বিধানসভার আইনপ্রণেতা নির্বাচিত হবেন তিনি।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.