‘হেফাজতের তাণ্ডবে ইন্ধনদাতারাও আইনের আওতায় আসবে’

বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ স্বাধীনতাবিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্যবিরোধী কাজ। সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের আচরণ সম্ভব নয়। যারা এ ঘটনার ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী- তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।

আজ শনিবার (১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভা ভবন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা জড়িত ছিল তা পর্যালোচনা চলছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে অনেককেই শনাক্ত এবং গ্রেফতার হয়েছে।

এর আগে ডিআইজি হাবিবুর রহমান হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন করেন।

এ সময় ডিআইজির সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, সিআইডির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. শাহরিয়ার রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ বড়ূয়া, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় ৫৫টি মামলার মধ্যে ৯টির তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়া ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে মাদরাসাছাত্রদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে পাঁচটির তদন্তভারও সিআইডিকে দেওয়া হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.