ইফতারে দই-কিসমিসের জাদুকরী উপকারিতা

গ্রীষ্মের প্রখর গরমে চলছে পবিত্র মাহে রমজান। গরম যতোই হোক ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রোজা তো রাখবেই। এদিকে আবার করোনা পরিস্থিতির জন্য নিস্তব্ধ চারপাশ। সবমিলিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা বিশেষ প্রয়োজন। রোজা থাকার ফলে শরীরে এমন কিছু খাদ্য প্রবেশ করা প্রয়োজন যা শরীরকে শক্তি যোগাবে, শরীরের জন্য পুষ্টিকর এবং মনকে ভালো রাখবে।

রমজানে দই-কিসমিস হতে পারে উপযুক্ত খাবার। দইয়ের উপকারিতা তো কম-বেশি সকলেরই জানা। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে সলিউবল ফাইবার উপাদান রয়েছে। এ জন্য প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে কিসমিস। দই-কিসমিস যদি ইফতারে খাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস মিশিয়ে খাওয়ার ফলে অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়। এই কম্বিনেশন দু’ভাবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, পাচন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে এমন বাজে ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপন্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে দই-কিসমিসের মিশ্রণ।

রোজায় সাধারণত ইফতারে ভাজা-পোড়াসহ মসলাদার খাবারের কমতি থাকে না। এতে অনেক সময় বদহজমের আশঙ্কা থাকে। পেট থেকে শরীরেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। দই-কিসমিস খাওয়ার ফলে হজম ভালো হয়। পেট ঠান্ডা করবে, সঙ্গে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।

টক দইয়ের সঙ্গে কিসমিস খাওয়ার ফলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে। দাঁতের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং পাইরিযা ঠিক করে। দই-কিসমিস মিশ্রণে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। হাড়ের জোড় বৃদ্ধিতে এবং অঙ্গের ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী দই কিসমিস।

এছাড়া যাদের ওবেসিটির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্যও খুবই উপকারী এই মিশ্রণটি। কোলেস্টেরলের লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও দই-কিসমিসের গুরুত্ব অপরিসীম।

সূত্র: জি-নিউজ

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.