লকডাউনে বের হওয়ার নতুন ফন্দি ‘শপিংমলে যাচ্ছি’

করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের মধ্যেই আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাস্তায় বেড়েছে লোক সমাগম। আর তাতে চলমান লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেকায়দায় পড়েছেন সড়কে দায়িত্বপালনকারী পুলিশ সদস্যরা।

এই লকডাউনে পুলিশের মুভমেন্ট পাস ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া নিষেধ থাকলেও মার্কেট ও শপিংমল খুলে দেওয়ায় রাজধানী ঢাকার অসংখ্য মার্কেট ও শপিংমলের হাজারো দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা রাস্তায় চলাচল করছেন। পাশাপাশি মহানগরীর অসচেতন নাগরিকদের একটি বৃহৎ অকারণে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। লকডাউনের বৈধ-অবৈধতার দোলচলে এক রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে শহরের সড়কগুলোতে। মুভমেন্ট পাশবিহীন কেউ সড়কে নামলে পুলিশ ধরলে তারা উত্তর দিচ্ছেন- ‘শপিংমলে যাচ্ছি’। এমন পরিস্থিতিতে সড়কে গণপরিবহন না থাকলেও অন্য সকল ধরনের যানবাহনের চাপ বেড়েছে।

আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তান, বাইতুল মোকাররম এলাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, রমনা, শাহবাগ, নিউমার্কেট, কলাবাগান ও উত্তরা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শনিবারের তুলনায় আজ রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। কোথাও কোথাও হালকা যানজটেরও সৃষ্টি হতে দেখা গেছে। লকডাউনের কারণে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকরা যাত্রী না পেলেও আজ তাদের সকাল থেকেই যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে।

সড়কে দায়িত্ব পালনকারী নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মার্কেট খুলে দেওয়ায় আজ নামমাত্র লকডাউন চলছে। শপিংমল খোলা রেখে লকডাউন বহাল রাখা কার্যকর কোনো ফল বয়ে আনবে না। অনেকেই এখন মার্কেট ও শপিংমলে যাওয়ার কথা বলে বের হচ্ছেন।

তবে চলমান লকডাউনে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকায় শপিংমলের ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই বিপাকে পড়েছেন। যাতায়াতে তাদের অধিক ভাড়া গুণতে হচ্ছে। লকডাউনে এ মুহূর্তে রিকশা, সিএনজি ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলই ভরসা।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.