ইরফান সেলিমের জামিন বহাল, মুক্তিতে বাধা নেই

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খরিজ করে আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। আর ইরফান সেলিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় গত ১৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৮ মার্চ ইরফান সেলিমের জামিন চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়।

এ ছাড়া চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য ইরফান সেলিম আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। এই আবেনটিও শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপিত হলে আদালত ২৫ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর মারধরের এই ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়।

পুলিশ জানায়, ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর ওয়াসিমের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজি সেলিমের গাড়ি। এরপর ওয়াসিম মোটরসাইকেল থামান এবং নিজের পরিচয় দেন। এ সময় হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দু’জন ব্যক্তি নেমে এসে তাকে মারধর করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে মারধরকারীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ সূত্র মতে, ঘটনার সময় হাজি সেলিম গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।

এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ইরফান সেলিমকে গ্রেফতার করা হয়। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.