মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মামুনুল হককে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তেজগাঁও থানায় কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার রাতে মামুনুল হককে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামুনুল হক এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালতের কাছে তাকে সাতদিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরবিরোধী কর্মসূচিকে ঘিরে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনায় খেলাফত মজলিসের এই নেতাকে মোহাম্মদপুর থানার মারধরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৭টি এবং নারায়ণগঞ্জে একটি মামলা রয়েছে। রোববার বেলা একটায় মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে একটি ভাঙচুরের মামলায় মামুনুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে মতিঝিল, পল্টন ও নারায়ণগঞ্জে। পরে সেসব সমন্বয় করা হবে।

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের মামলার নথি থেকে জানা গেছে, মতিঝিল থানায় দুটি বিস্ফোরক মামলায় ১২৭ ও ১৭২ নম্বর এবং পল্টন থানায় তিনটি মামলায় ১৯, ৩৩ ও ৩৬ নম্বর আসামি হিসেবে মামুনুল হকের নাম উল্লেখ আছে।

সূত্র জানায়, ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরের চাঁন মিয়া হাউজিংয়ের বাসিন্দা জি এম আলমগীর শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। তবে ওই মামলায় সাত নম্বর আসামি মামুনুল হক। মামলার প্রাথমিক তথ্যবিবরণীতে তার বাবার নাম ও ঠিকানা অজ্ঞাত লেখা আছে। সেখানে এলোপাতাড়ি মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি দেওয়া, ধর্মীয় কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে গোলযোগ সৃষ্টি ও প্ররোচনার অভিযোগ এনেছেন। ওই সময় একটি মুঠোফোন, ৭ হাজার টাকা, ২০০ ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডেবিট কার্ড চুরি হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.