দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে।

প্রথম দিন সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ মোটামুটি বাস্তবায়িত হলেও দ্বিতীয় দিনের লকডাউন নিয়ে সংশয় রয়েছে। দ্বিতীয় দিন বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত গার্মেন্টস শিল্প এবং ব্যাংক খোলার কারণে তাদের কর্মীদের কর্মস্থলে পৌঁছানো কতটা নির্বিঘ্ন হয়, তা নিয়ে মূলত এই সংশয়। অবশ্য পুলিশ বলছে, প্রজ্ঞাপনে পরিষেবার বিষয়টি আওতামুক্ত। কাজেই প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী এগুলো প্রতিপালিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।

যেসব পেশার মানুষ জরুরিসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক রাস্তাতে ব্যারিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরিসেবা সংস্থারও কোনো যানবাহন যেতে পারছে না; যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন গলিতে নির্দিষ্ট স্থান পরপর বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধক গড়ে তুলেছেন স্থানীয়রা। রিকশাসহ ছোট যানবাহনগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে সেখানে। তবে পায়ে হেঁটে চলাচল করা যাচ্ছে। ইফতারের সামগ্রীসহ নিত্যপণ্যের দোকান খোলা দেখা গেছে।

ব্যাংকগুলোর সূত্রে জানা গেছে, তারা সীমিত পরিসরে সীমিতসংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে যাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, তাদের দিয়ে দায়িত্ব পালন করানো হবে এবং প্রয়োজনীয় অন্য কর্মীদের তারা অফিসের ব্যবস্থাপনায় আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

গার্মেন্টস এবং ব্যাংকে কর্মরতদের যাতায়াতের বিষয়টি কী হবে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ইফতে খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পরিষেবাগুলো বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে। কাজেই এ বিষয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ব্যাংক খোলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পরে হলেও সেটি জাতীয় পরিষেবার মধ্যেই পড়ে।

দেশে করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার থেকে কঠোর বিধিনিষধের ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু এই বিধিনিষেধকে বলা হচ্ছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.