আগামীকাল কাউকে সড়কে দেখতে চাই না: আইজিপি

মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে বের না হতে অনুরোধ করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) কাউকে সড়ক-রাস্তাঘাট এবং বাইরে দেখতে চাই না। বিনা প্রয়োজনে কাউকে দেখতে চাই না। আমরা চাপপ্রয়োগের চেয়ে নিজেদের উদ্যোগেই এই দায়িত্ব পালন করবো। এসব না মানলে সমগ্র বাংলাদেশকে আইসোলেশনে নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ অডিটেরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে বিধি-নিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপসের উদ্বোধনের সময় আইজিপি এসব কথা বলেন।

বেনজীর আহমেদ বলেন, কেউ রাস্তায় জটলা পাকাবেন না, হাতিরঝিলে বা অন্য কোথায় গিয়ে তরুণ-তরুণীদের আড্ডা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। বাজার, করোনার টিকার তারিখ থাকলে কিংবা অতিপ্রয়োজনীয় কাজ থাকলে বের হওয়া যাবে। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে রোগী চলাচলের প্রয়োজন হলেও মুভমেন্ট পাস লাগবে।

তিনি বলেন, গতবছর যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, এবারো দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ন্ত্রণ করবো। তবে অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় চলাফেরা বন্ধ করতে হবে। গতবছর লাখ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। এবারো গত দুদিন ধরে ঢাকা ছাড়ছেন, এগুলো ঠিক না। এগুলো নৈতিকভাবে খুবই অন্যায় কাজ।

আইজিপি বলেন, গতকাল (১২ এপ্রিল) বিভিন্নভাবে যারা যেখানে পৌঁছেছেন, তারা সেখানেই থাকবেন। গ্রামবাসীকে বলবো, লক্ষ্য রাখবেন, যদি আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে সে গ্রামের অন্যকেও আক্রান্ত করবে। তারা সাতদিন ঘরে থাকবেন। সরকার যেভাবে বলছে সেভাবে নির্দেশ মানবেন।

ব্যক্তিগত গাড়ি বের করার বিষয়েও নিরুৎসাহী করে তিনি বলেন, অবশ্যই মুভমেন্ট পাস নেবেন। পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করবেন বলেও তিনি অনুরোধ করেন।

করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে আইজিপি বলেন, সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কোনও প্রাণহানি চাই না। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের প্রধান উপায় হচ্ছে ব্যক্তিগত সচেতনতা। আমাদের অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া। এসব বিধি আমাদের মনোযোগ ও আন্তরিকতা দিয়ে মানতে হবে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.