লকডাউনের প্রথম দিনে শনাক্ত-মৃত্যু কিছুটা কমেছে

করোনা মহামারির তাণ্ডবে টালমাটাল বিশ্ব। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ অবস্থায় বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশে করোনা রোগী শনাক্তের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। সবশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু কিছুটা কমেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাত হাজার ৭৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর আগে রোববার (০৪ এপ্রিল) দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় সাত হাজার ৮৭ জন। যা একদিনে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

আগের সাত দিনে দেশে যথাক্রমে ৭০৮৭, ৫৬৮৩, ৬৮৩০, ৬৪৬৯, ৫৩৮৫, ৫০৪২ ও ৫১৮১ জন রোগী শনাক্ত হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৯ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৩০ হাজার ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর পরীক্ষাকৃত এসব নমুনার ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশের মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গতকাল দেশে ৩০ হাজার ৭২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন পর্যন্ত দেশে মোট ৪৮ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আর মোট পরীক্ষার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ পজিটিভ।

আজ সোমবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


একনজরে দেশের করোনার চিত্র

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন: ৭০৭৫ জন

মোট আক্রান্তের সংখ্যা: ৬৪৪৪৩৯ জন

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে: ৫২ জনের

মোট মৃত্যু হয়েছে: ৯৩১৮ জনের

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন: ২৯৩২ জন

মোট সুস্থ হয়েছেন: ৫৫৫৪১৪ জন


গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫২ জন মারা গেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (০১ এপ্রিল) করোনায় মারা যান ৫৯ জন, যা এ যাবতকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড।

গত বছরের ৩০ জুন দেশে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ২৬ জুলাই ও ২৬ আগস্ট দেশে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া গত বছরের ১৬ জুন ও চলতি বছরের ৪ এপ্রিল করোনায় মারা যান ৫৩ জন।

গত সাত দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ৫৩, ৫৮, ৫০, ৫৯, ৫২, ৪৫ ও ৪৫ জন।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ৩১৮ জনে। মোট শনাক্তকৃত রোগীর বিপরীতে মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও দুই হাজার ৯৩২ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। দেশে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৪১৪ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.