হেফাজত-জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি ওলামা লীগের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের বিরোধীতায় করা আন্দোলন ও এর প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার দায়ে হেফাজত ও জামায়াতকে অনতিবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩ দল।

আজ শনিবার (০৩ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩ দলের মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে মসজিদে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক এবং রোজা অবস্থায় টিকা জায়েজ- ইফার এ ফতোয়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ওলামা লীগ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারের উচিত অবিলম্বে হেফাজত-জামায়ত নিষিদ্ধ করা। পাশাপাশি সাধারণ মুসলমানদেরও উচিত তাদের বয়কট করা।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৫০তলা মসজিদ নির্মাণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা নন বরং তিনি গোটা মুসলিম বিশ্বের নেতা। কাজেই বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ মসজিদ (১৫০ তলা) নির্মাণ করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধু যেখানে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন সেখানে সর্বোচ্চ মীনার তৈরি করতে হবে।

মানববন্ধনে জানানো বেশকিছু দাবির মধ্যে অন্যতম হলো- অনতিবিলম্বে হেফাজত-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে হবে। মুজিব শতবর্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১২ একর জায়গার উপর পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১৫০ তলা মসজিদ নির্মাণ ও ৭ মার্চ ভাষণের স্থানে সর্বোচ্চ মিনার তৈরি করতে হবে।

আওয়ামী ওলামা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ মাওলানা মো. আখতার হোসাইন বোখারী মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি আলহাজ হাফেজ মুফতী মাওলানা মো. আব্দুর সাত্তার, আওয়ামী ওলামা লীগের সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, সহ দফতর সম্পাদক মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সবুর মিয়াসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.