মিয়ানমারে দমন-পীড়নে নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সংঘাতে নিহতের সংখ্যা এরইমধ্যে ৫০০ ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) এ তথ্য জানিয়েছে।

এএপিপি জানিয়েছে, তারা ৫১০ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা হয়তো আরও অনেক বেশি।

শনিবার ছিল মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস। এদিন বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১৪ জন নিহত হয়। ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর একদিনে এটিই সর্বোচ্চ নিহতের ঘটনা।

গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীরা সোমবার রাতে প্রদীপ জ্বেলে নিহতদের স্মরণ করেছে। মঙ্গলবার শুরু হয়েছে তাদের নতুন এক কর্মসূচি- ‘গার্বেজ স্ট্রাইক’।

এ কর্মসূচিতে নাগরিকদের ঘরের আবর্জনা রাস্তার মোড়ে ছুড়ে ফেলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বলা হচ্ছে।

অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) নামের একটি সংগঠন বলছে, সোমবারও বিক্ষোভে দমন-পীড়নে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজন নিহত হয়েছেন ইয়াংগনের দাক্ষিণ দাগন এলাকায়।

জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বর্মি সামরিক বাহিনীর এ হত্যাযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছে।

এরই মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বার্মার জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।

এদিকে একদিনে শতাধিক বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার দিনে জমকালো ডিনার পার্টি আয়োজন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অভ্যুত্থানের নেতারা লাল কার্পেটের ওপর দিয়ে অভ্যাগত অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।

গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত অ্যালিস ওয়েইরিমু এনদেরিতু এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাণঘাতী ও ব্যাপক অভিযান চালানোর নিন্দা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.