হাফ সেঞ্চুরির পর ফিরলেন সৌম্য

গ্লেন ফিলিপসের ঝড় হাফ সেঞ্চুরিতে বড় স্কোরের সুবাস পাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু বৃষ্টির বাঁধায় ১৭.৫ ওভারে ১৭৩ রানে থামতে হয় স্বাগতিকদের। ফলে বৃষ্টি আইনে ১৬ ওভারে ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশকে।

জয়ের জন্য ১৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সৌম্য সরকার ও নাঈম শেখ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করা সৌম্য ইশ সোধি ও অ্যাডাম মিলনের বিপক্ষে দারুণভাবে রান তুলতে থাকেন। তাঁকে বেশ ভালোভাবে সঙ্গ দিয়েছেন নাঈম।

তিনে নেমে দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সৌম্য ২৫ বলে বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। হাফ সেঞ্চুরির তুলে নেয়ার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। টিম সাউদিকে ছক্কা মারতে গিয়ে ২৭ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য।

ইডেন পার্কে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিজে নেমে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং ফিন অ্যালেনের ব্যাটে দারুণ শুরু কিউইদের। চতুর্থ ওভারে তাসকিন আহমেদের ওভারে আরও আক্রমণাত্মক এই জুটি।

মাহমুদউল্লাহর হাতে জীবন পেলেও ওভারের শেষ বলে নাইম শেখের হাতে ধরা পরলেন অ্যালেন। ১০ বলে ১৭ রানে এই ওপেনারের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লে’র শেষ বলে আবারও স্কোরবোর্ডে নাম লেখালেন তাসকিন। তবে এবার ফিল্ডার হিসেবে।

সাইফউদ্দিনের পায়ের কাছে করা বলকে অনায়েসে ফ্লিক করে বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন গাপটিল। কিন্তু তাসকিনের অসাধারণ ক্যাচে ডাগআউটে ফিরতে হয় তাকেও। ১৮ বলে ২১ রানে ফেরেন এই ওপেনারও। এরপরের ওভারের প্রথম বলে কনওয়ে ফেরেন শরিফুলকে পুল করতে গিয়ে।

৯ বলে ১৫ রান করে ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন উইল ইয়ং এবং গ্লেন ফিলিপ্স। দলীয় ১০০’র আগে শেখ মেহেদিকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হন ইয়াং। ১৪ রানে ফিরেন তিনি। এর খানিক পরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি।

মিনিট দশেক পর আবারও খেলা শুরু হলে মেহেদি হাসানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন মার্ক চাপম্যান। ৫ উইকেট হারালেও গ্লেন ফিলিপ্স এবং ড্যারেল মিচেলের হাতে দলীয় ১৫০ পার করে নিউজিল্যান্ড। ২৭ বলে ফিলিপ্স তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ১৭.৫ ওভারের বেলায় আবারও ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। সে সময় কিউইদের সংগ্রহ ১৭.৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.