৬ দিন পর সরলো সুয়েজ খালে আটকা জাহাজ (ভিডিও)

একটি পণ্যবাহী জাহাজ আড়াআড়ি আটকে গিয়েছিল সুয়েজ খালে। দিন ছয়েকের চেষ্টার পর তা আংশিক সরানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ।

সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জেনারেল ওসামা রাবি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাহাজের তলদেশ দিয়ে পানি চলতে শুরু করেছে। শিগগিরই বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই বাণিজ্যিক পথটি খুলে দেওয়া হবে।

জানানো হয়েছে, আটকে থাকা এভার গিভেন জাহাজটিকে সরাতে শনিবার প্রায় ২০ হাজার টন বালু সরানো হয়। ১৪টি টাগবোট টানাটানি করে বালুচর থেকে এভার গিভেনকে নড়ানোর চেষ্টা করে। তবে শক্তিশালী স্রোত আর বাতাসে উদ্ধার চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়।

জাপানী মালিকানার বিশাল মালবাহী জাহাজ এভার গিভেন সুয়েজ খালে আড়াআড়িভাবে আটকে পড়েছিল। ৫০০ মিটার লম্বা, ৫৯ মিটার চওড়া, দুই লাখ ২০ হাজার টনের জাহাজটি ভূমধ্যসাগরের দিকে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। তারপর ঘুরে গিয়ে তা আড়াআড়ি আটকে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, প্রবল বাতাসের ফলে জাহাজের হাল বিচ্যুত হয়। তারপর তা ঘুরে যায়। জাহাজের তলাটা খালের নীচে কাদামাটির মধ্যে আটকে গেছিল।

জাহাজটি এইভাবে আটকে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগর বা লোহিত সাগর কোনোদিক থেকেই জাহাজ আসা-যাওয়া করতে পারছিল না। ফলে লোহিত সাগরে তিন শতাধিক জাহাজের বিশাল জট তৈরি হয়েছে, এবং অনেক জাহাজ আফ্রিকা ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হয়। এছাড়া আটকে পড়ে প্রচুর পশুবাহী জাহাজ। সেই সব জাহাজে হাজার হাজার পশু রয়েছে। যদিও ওই জাহাজে পশু চিকিৎসক, খাবার ও পানি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মিশর।

এদিকে সুয়েজ আটকে যাওয়ায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্ব। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে এক হাজার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে। মিশরের প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে এক কোটি ২০ লাখ থেকে এক কোটি ৪০ লাখ ডলার। এছাড়া খাল আটকে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশে পণ্য পৌঁছতে দেরি হবে। সূত্র: ডিডব্লিউ, পার্সটুডে, রয়টার্স, এপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.