ঘামের দুর্গন্ধ?রান্নাঘরেই আছে এ সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়

খাদ্যাভ্যাস, ওজন, শারীরিক অবস্থা ইত্যাদি কারণে ঘামে দুর্গন্ধ হতে পারে। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে ঘাম হওয়াটা শরীরের স্বাভাবিক কার্যপদ্ধতি। প্রাকৃতিকভাবেই ঘাম গন্ধহীন। তবে দুর্গন্ধ তখনই হয় যখন ত্বকে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার সংস্পর্শে ঘাম যুক্ত হয়। আর গরম মানেই সারাদিন প্যাচপেচে ঘাম সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ! কিন্তু জানেন কি আপনার রান্নাঘরের উপাদানই মুক্তি দেবে এই সমস্যা থেকে । প্রচণ্ড গরমেও আপনি থাকবেন স্নিগ্ধ, সতেজ আর সুবাসিত।

  • লেবুর রস: লেবুর রস আপনার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বাড়তে দেয় না, ফলে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও নির্মূল হয়।
    একটা পাতিলেবু অর্ধেক কেটে নিন। তারপর বাহুমূলে ঘষে নিন লেবুর চাকাদুটো। একটু চিপে দেবেন যাতে রসটা বাহুমূলে লেগে থাকে। প্রাকৃতিক হাওয়ায় রসটা শুকিয়ে যেতে দিন। আর দুর্গন্ধ হবে না।
    লেবু অর্ধেক কেটে তাতে ভালো করে লবণ মাখিয়ে নিন। লবণ মাখানো লেবুর টুকরোটা আন্ডারআর্মে ঘষে নিন। ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • বেকিং সোডা: শরীরের ঘাম শুষে নিয়ে এবং ব্যাকটেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত কমিয়ে দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে রাখে বেকিং সোডা।
    পাউডারের মতো বেকিং সোডা লাগাতে পারেন। বাহুমূল সমেত শরীরের যেসব জায়গা বেশি ঘামে, সেখানে লাগিয়ে নিন, বাড়তিটা ঝেড়ে ফেলে দিন।
    দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। স্প্রে বটলে ভরে রাখুন, বাহুমূলে প্রয়োজনমতো স্প্রে করলেই হল।
    বেকিং সোডা আর লেবুর রস মিশিয়ে বাহুমূলে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
  • চা: চায়ের ট্যানিন ত্বক শুকনো রাখে, ঘাম আর দুর্গন্ধ তৈরি আটকায়। সপ্তাহে দু’বার বা তিনবার লাগান।
    পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিন। এতে গ্রিন টি-র পাতা ভিজিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন আর দরকারমতো ব্যবহার করুন।
    এক লিটার পানি ফোটান। তাতে দুটো টিব্যাগ ফেলে ১০ মিনিট ভিজতে দিন। গোসলের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
  • টমেটো: এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক যা ব্যাকটেরিয়া নাশ করে দুর্গন্ধ কমাতে পারে।
    একটা টমেটোর শাঁস বের করে বাহুমূলে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
    গোসলের পানিতে দুই কাপ টমেটোর রস মিশিয়ে তা দিয়ে গোসল করুন। দুর্গন্ধ দূর হবে।

অর্থসূচক/আরএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.