কোহলিদের সিরিজ জয়

চতুর্থ টি-টোয়েন্টির পর সিরিজে ছিল ২-২ এ সমতা। পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে এসে বিরাট কোহলির অধিনায়োকচিত ইনিংসে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে তার দল। আহমেদাবাদে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারিয়েছে ভারত।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ২২৪ রান তোলে তারা। পরে ওয়েন মরগ্যানরা ৮ উইকেটে ১৮৮ রানে থামেন। এতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় কোহলির দলের। এই নিয়ে টানা ছয়টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল ভারত। সবমিলিয়ে তারা অপরাজিত আটটি সিরিজে। এই সংস্করণে শেষবার তারা সিরিজ হেরেছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সেবার নিজেদের মাটিতে ২-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় ভারত। এদিন নিয়মিত উদ্বোধণি ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন কোহলি। তিনি ধীরেসুস্থে শুরু করলেও রোহিত ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। অষ্টম ওভারে মাত্র ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। নবম ওভারে আক্রমণে এসে ৯৪ রানের জুটি ভাঙেন বেন স্টোকস। শেষ ডেলিভারিতে লেগ কাটারে বোল্ড হন রোহিত। তার সংগ্রহ ৪ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬৪ রান।

রোহিত যেখানে শেষ করে যান, সেখান থেকেই শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব। দশম ওভারে আদিল রশিদকে টানা ২ ছক্কা মেরে দলের সংগ্রহ একশ পার করেন তিনি। ছন্দে থাকা সূর্যকুমারকে ঠেকাতে অসাধারণ কিছুর দরকার ছিল। হলোও সেটাই। যদিও ক্যাচে লেখা থাকবে জেসন রয়ের নাম, মূল কৃতিত্ব আসলে লং-অনে ফিল্ডিং করা ক্রিস জর্ডানের। অনেকটা দৌড়ে সীমানার ঠিক ভেতরে বল হাতে জমান জর্ডান। শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারবেন না বুঝে সীমানার বাইরে পা ফেলার ঠিক আগে বল ছুঁড়ে দেন রয়ের উদ্দেশ্যে। তিনি অনায়াসে তা লুফে নেন। ফলে ১৭ বলে ৩২ করে ফেরেন সূর্যকুমার। পরের ৪০ বলে ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া। সূর্যকুমারের বিদায়ের সময় কোহলির সংগ্রহ ছিল ২৯ বলে ৩৯ রান। পরের ৪১ রান তিনি নেন ২৩ বলে।

১৬তম ওভারে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৮০ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছয়। সঙ্গী হার্দিক ৩৯ করেন ১৭ বলে। ফলে ২২৪ রান পাহাড়ে থামে ভারতের ইনিংস।

জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় বলেই জেসন রয়কে হারায় ইংলিশরা। ডাউন দ্য উইকেটে ভুবনেশ্বর কুমারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। তখনও দলীয় সংগ্রহ শূন্য। এরপরই ক্রিজে আসেন ডেভিড মালান। শুরু হয় জস বাটলার ও মালান তাণ্ডব। ৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৬২। পাওয়ার প্লের পরও একই তালে এগোতে থাকেন দুজন। মালান ১১তম ওভারে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন, পরের ওভারে বাটলার।

বাটলার-মালানের ৮২ বলে ১৩০ রানের জুটি ভাঙার পর তছনছ হয়ে যায় ইংলিশদের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডার। ১৭ বলে ১২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে যায় তারা।

ভুবনেশ্বরের বলে লং-অফে হার্দিকের হাতে ক্যাচ দেন বাটলার। ৩৪ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ে তিনি করেন ৫২ রান। ১৫তম ওভারে জোড়া শিকার ধরেন শার্দুল। জনি বেয়ারস্টকে বিদায় করার ২ বল পর মালানের স্টাম্প উপড়ে নেন তিনি। এরপরই আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। ফলে ৩৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংলিশদের। ২-২ এ সমতায় থেকেও তাদের হারতে হয় ৩-২ ব্যবধানে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.