শেষ রক্ষা হলো না ইংল্যান্ডের

জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৬ রান দরকার ইংল্যান্ডের। ১৭তম ওভারের প্রথম বলে বেন স্টোকসকে ফেরানোর পরের বলে ইয়ন মরগানকে ফেরান শার্দুল ঠাকুর। ডানহাতি এই বোলার ১ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলে জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয় ইংলিশদের। শেষ দিকে জোফরা আর্চারের ৮ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। ফলে ৮ রানের জয়ে সিরিজে ২-২ সমতায় ফিরলো বিরাট কোহলির দল।

১৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাজেভাবে শুরু করে ইংল্যান্ড। দলীয় মাত্র ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন গেল ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া জস বাটলার। ৬ বলে ৯ রান করে ভুবেনশ্বর কুমারের বলে সাজঘরে ফিরেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এদিন ব্যাট হাতে ভুগেছেন ডেভিড মালানও। রাহুল চাহারকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন ১৭ বলে ১৪ রান করা টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিয়ের শীর্ষে থাকা এই ব্যাটসম্যান।

বাটলার-মালান ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও অপর প্রান্তে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন জেসন রয়। তবে আবারও চল্লিশের ঘরে কাটা পড়তে হয় তাঁকে। হার্দিক পান্ডিয়াকে ছক্কা মারতে গিয়ে ২৭ বলে ৪০ রান করে ফেরেন তিনি। পুরো সিরিজে তৃতীয়বারের মতো চল্লিশের ঘরে আউট হয়েছেন তিনি।

এরপর স্টোকসের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন জনি বেয়ারস্টো। ১৯ বলে ২৫ রান করে চাহারের বলে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাঁদের এই জুটি। বেয়ারস্টো ফিরলেও দলকে জয়ের কক্ষপথে রেখেছিলেন স্টোকস। তবে ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে থাকা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরলে জয়ের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হতে থাকে ইংল্যান্ডের। মাত্র ২৩ বলে ৪৬ রান করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।

স্টোকসের পর মরগান ফিরলে ভারতের জয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে উঠে মাত্র। তবে শেষ দিকে ক্রিস জর্ডানের ১২ ও আর্চারের ৮ বলে ১৮ রানের ক্যামিও স্বপ্ন দেখালেও ইংল্যান্ডকে জয় এনে দিতে পারেনি তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে থামে ইংলিশরা। ভারতের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন শার্দুল আর দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হার্দিক ও চাহার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ভারত। তৃতীয় ম্যাচের মতো এদিনও জ্বলে উঠতে পারেননি রোহিত শর্মা। ১ ছক্কা ও ১ চারের সাহায্যে ১২ বলে ১২ রান করে আর্চারের বলে ফিরেছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ব্যাট হাতে সময়টা একেবারে ভালো যাচ্ছে না লোকেশ রাহুলের। প্রথম তিন ম্যাচের মতো চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ তিনি।

প্রথম তিন ম্যাচে মাত্র ১ রান করা রাহুল এদিন ফেরেন ১৭ বলে ১৪ রান করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া কোহলি স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ১ রান করে। তবে দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন সুর্যকুমার যাদব। দ্বিতীয় ম্যাচে অভিষেক হলেও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি তিনি।

তৃতীয় ম্যাচে একাদশে জায়গা না হলেও চতুর্থ ম্যাচে আবারও ফেরেন ইশান কিশানের বদলি হিসেবে। জাতীয় দলের হয়ে প্রথমবারের মতো ব্যাট হাতে সুযোগ পেয়েই জ্বলে উঠেন তিনি। আর্চারকে ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা সূর্যকুমার শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরেন ৩১ বলে ৫৭ রান করে। ইনিংসটি খেলতে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন বিতর্কিত ক্যাচ আউটে ফেরা সূর্যকুমার।

১১০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও শ্রেয়াস আয়ার ও রিশভ পান্তের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় ভারত। পান্তের ২৩ বলে ৩০ রানের সঙ্গে মাত্র ১৮ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন আয়ার। শেষ দিকে হার্দিক-শার্দুলরা ব্যাট হাতে সুবিধা করতে না পারলেও ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় কোহলির দল। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন আর্চার। আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন আদিল রশিদ, মার্ক উড, স্টোকস ও স্যাম কারান।

 

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.