খাটো বলে বিয়ে হয়নি, পুলিশকেই কনে খুঁজে দেয়ার আরজি

ভারতের উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে পাত্রী খুঁজে দেওয়ার আবেদন জানালেন বছর ছাব্বিশের এক যুবক! গত পাঁচ বছর ধরেই তার বাড়ির লোক চেয়েছেন বাড়ির ছোট ছেলের বিয়ে দিতে। কিন্তু সাফল্য আসেনি। তাই এবার নিজেই থানায় হাজির আজিম। দাবি, তার জন্য উপযুক্ত পাত্রী খোঁজার দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশকেই!

এমনিতে আজিমের পাত্রী পাওয়া খুব অসুবিধের কিছু নয়। তিনি বেকারও নন। শামলি জেলার কাইরানা শহরে প্রসাধনীর দোকান চালান তিনি। কিন্তু সমস্যা একটাই। তার দৈহিক উচ্চতা। মাত্র ২ ফুট উচ্চতার আজিমকে কেবল দৈর্ঘ্যের জন্যই নাকচ করে দিচ্ছেন পাত্রীদের পরিবারগুলি।

ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আজিম। বহুদিন ধরেই বাড়ির লোক তার জন্য পাত্রী খুঁজছে। কিন্তু ক্রমেই দীর্ঘ হয়েছে অপেক্ষা। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিষাদ। আজিমের কথায়, আমি রাতে ঘুমতে পারি না। এতদিন ধরে চেষ্টা করছি। তবুও পাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। আমি কি আমার জীবনটা কারও সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারব না?

ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আজিম। এমন অদ্ভুত দাবি শুনে পুলিশও চমকে গিয়েছে। পুলিশ অফিসার সৎপাল সিং জানান, ওই যুবক আমাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন পাত্রী খুঁজে দেওয়ার। জানি না আমরা এক্ষেত্রে কী করতে পারি।

স্টেশন হাউস অফিসারের দায়িত্বে থাকা নীরজ চৌধুরীর কথায়, কোনও যুগলের মধ্যে সমস্যা হলে তা মেটাতে সাহায্য করতে পারি আমরা। কিন্তু কাউকে পাত্রী খুঁজে দেওয়া আমাদের কাজ নয়।

আসলে এই ঘটনায় ফের উঠে আসছে সমাজের প্রচলিত কাঠামোর কাছে মানুষের অসহায়তার দিকটা। আজিমের এক ভাইয়ের কথায়, ও শারীরিক ভাবে দুর্বল। হাতেও একটা সমস্যা আছে। আমরা চাই এমন একজন ওকে বিয়ে করুক যে ওর খেয়াল রাখতে পারবে।

যদিও আজিমের অভিমান, তার পরিবার তাকে নিয়ে ভাবে না। তবে আজিমের দাদা জানিয়েছেন, মোরাদাবাদ থেকে নতুন সম্বন্ধ এসেছে। আপাতত সেখানে গিয়ে ভাইয়ের জন্য পাত্রী দেখতে চান তারা। সকলেরই আশা যেন এবার সাফল্য আসে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.