২০২২ সালের মধ্যে শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হবে ওয়ালটন

ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স পণ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। এবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেও মার্কেট লিডার হতে চায় তারা। ইতোমধ্যেই এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে ওয়ালটন। দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীদের নিয়ে চলছে উন্নয়ন ও গবেষণার কাজ। ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি হচ্ছে উচ্চমানের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল পণ্য। এরই প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের মধ্যে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ওয়ালটন।

শনিবার (১৩ মার্চ) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসায়ীদের সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। সম্মেলনে অংশ নেন সারা দেশের ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স-এর ৫ শতাধিক ডিস্ট্রিবিউটর।

সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, পরিচালক এস এম রেজাউল আলম, তাহমিনা আফরোজ তান্না ও সাবিহা জারিন অরণা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে ফ্যান বিক্রিতে শীর্ষে ওয়ালটন। এলইডি লাইটসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল পণ্যেও গ্রাহকচাহিদায় অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। গত বছর করোনার মধ্যেও ১২ লাখ ফ্যান বিক্রি করেছে তারা। চলতি বছর ৩০ লাখ ফ্যান বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। মাত্র তিন বছরে বাংলাদেশের ফ্যান মার্কেটের ৫০ শতাংশ দখল করেছে ওয়ালটন। এবার লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্র্যান্ড হওয়া।

এর আগে ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবসায়ীরা ওয়ালটনের অত্যাধুনিক কারখানা পরিদর্শন করেন। সে সময় তারা বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সমৃদ্ধ ওয়ালটন ফ্যান, সুইচ-সকেট, এলইডি লাইট, ক্যাবলস, হার্ডওয়্যার অ্যান্ড এক্সেসরিজ, লিফট ইত্যাদি পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন। অনুষ্ঠানে সেরা ব্যবসায়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা নিলু, নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল রানা, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ফিরোজ আলম, আমিন খান প্রমুখ।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.