শ্রমিকদের কাফালা ব্যবস্থায় পরিবর্তন সৌদির

বহুল-প্রতীক্ষিত সংস্কারকৃত শ্রম আইন কার্যকর হওয়ায় এখন থেকে সৌদি আরবে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটিতে সংস্কার শ্রম আইন কার্যকর হওয়ায় শ্রমিকরা এই সুবিধা পাবেন।

আজ রোববার (১৪ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বহু বছরের বিতর্কের জেরে কর্মীদের কাফালা বা স্পন্সরশিপ ব্যবস্থা বাতিল করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ব্যাপক বিতর্কিত কাফালা ব্যবস্থায় সংশোধন আনার পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দেয়।

১৯৫০-এর দশকে প্রবর্তিত এ ব্যবস্থায় প্রবাসী শ্রমিকদের তাদের নিয়োগকর্তা ও স্পন্সরের নির্দেশে চলতে হয়। এমনকি তাদের অনুমতি ছাড়া সৌদি আরবে আসা-যাওয়া করা যায় না। এককথায়, নিয়োগকর্তা শ্রমিকদের ভিসা ও আইনি অবস্থান নিয়ন্ত্রণ করেন।

সৌদি আরবের সংস্কারকৃত নতুন শ্রম আইন কার্যকর হওয়ায় প্রবাসী শ্রমিকরা এখন থেকে মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই অনায়াসে চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া শ্রমিকরা তাদের চুক্তির মেয়াদকালে চাকরি স্থানান্তর করতে পারবেন। তবে এ জন্য তাদের নিয়োগকর্তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অবগত করতে হবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব শ্রমিককে কাজের চুক্তি দেওয়া হয় না অথবা বেতন থেকে বঞ্চিত রয়েছেন; তাদের জন্যও আইন হচ্ছে। উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সম্প্রতি বহুল বিতর্কিত কাফালা ব্যবস্থায় সংস্কার এনেছে। যদিও সমালোচকরা বলছেন, কাফালা ব্যবস্থায় সংস্কার আনা হলেও এখনও শ্রমিকরা কাজের ক্ষেত্রে এবং আবাসন ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কাফিল বা নিয়োগকর্তার কাছে ধরা থাকবেন।

এ উদ্যোগটি সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংস্কার বলে ধরা হচ্ছে। যুবরাজের ভিশন ২০৩০ উদ্যোগে সৌদি অর্থনীতিতে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.