মিয়ানমারে ব্যাপক বিক্ষোভের ডাক, আরও ২ বিক্ষোভকারী নিহত

মিয়ানমারে সামরিক জান্তা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই। বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে রাজপথে এক মাসের বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ করছে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এদিকে বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে আরও দুই বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, আজ শনিবার (১৩ মার্চ) দেশটিতে বিশেষ একটি দিন ঘিরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর আগের রাতেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে থারকেটা থানার সামনে জড়ো হওয়া জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ।

শনিবার সকালে ইনসেইন রেলওয়ে প্রাঙ্গণ ঘিরে রাখতে দেখা যায় সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের। যাকে বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অবরোধ’ বলে উল্লেখ করে।

একটি ভিডিও পোস্টে দেখা যায়, অনেক আহত বিক্ষোভকারীকে সাহায্য করছেন তাদের সতীর্থরা।

আরেকটি ভিডিওতে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ তোলা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া এক বালককে পিটুনি দিতে দেখা যায় অন্য ফুটেজে।

এর আগে ঐতিহাসিক ১৩ মার্চ ঘিরে বড়সড় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয় মিয়ানমারে। ১৯৮৮ সালে নিহত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ওই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে তৎকালীন মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্র হয় এবং গণতন্ত্রের আইকন হিসেবে অং সান সু চি’র আত্মপ্রকাশ ঘটে।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সবাইকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে। নির্বাচিত নেত্রী সু চি ও এনএলডির অধিকাংশ নেতাকে হয় কারাগারে না হয় বাড়িতে বন্দি করে রেখেছে সেনাবাহিনী। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজারের বেশি মানুষকে।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত সেনা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ৭০ জনেরও বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.