ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হলেন সংগীতশিল্পী তাহসান

প্রথমবারের মতো ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। আগামী দুই বছর ইভ্যালির শুভেচ্ছা দূত হয়ে থাকবেন তিনি। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ইভ্যালির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

এসময় শুভেচ্ছা দূত (ফেস অব ইভ্যালি) তাহসান খান, ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির সাথে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে অভিনেতা তাহসান বলেন, ব্যক্তি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যখন কোনো প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড একত্রিত হয় তখন সেটি উভয়ের জন্য এক ‘উইন-উইন’ অবস্থা তৈরি করে। আমি দোয়া প্রার্থী এবং আশা প্রকাশ করছি যে, ইভ্যালি এবং আমার এই দুই ব্র্যান্ডের একত্রীকরণ হওয়া উভয় পক্ষের জন্যই ফলপ্রসূ হবে।

তাহসান আরও বলেন, ইভ্যালি একটা কঠিন সময় পার করে এসেছে। তারা যখন আমাকে তাদের সেই সময়ের কথা বলেন তখন এক কথায় মুগ্ধ হয়েছি। তার সূত্র ধরে আমি বলতে পারি যে, আমি বিলিভ (বিশ্বাস) রাখি ইভ্যালিতে। আমি বিশ্বাস করি ইভ্যালি একদিন গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। ইভ্যালি শুধু আমাদের না, পুরো দেশের।

‘ফেস অব ইভ্যালি’ হওয়ার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ‘চিফ গুডউইল অফিসার’ হিসেবেও নিয়োগ পাওয়ার কথা সংবাদ সম্মেলনে জানান তাহসান খান।

ইভ্যালির সহ প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বলেন, ইভ্যালির সাথে তাহসানকে যুক্ত করতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। আমরা তাহসানকে ‘ফেস অব ইভ্যালি’ বললেও তিনি পুরো বাংলাদেশের ‘ফেস’।

তাহসানের যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, তাহসানের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা আকর্ষণীয় দিক যে তিনি ‘ইভ্যালি’ শব্দটাকে তার নামের সঙ্গে যুক্ত করার সুযোগ দিয়েছেন। আমরা বলছি শুরুটা দুই বছরের জন্য কিন্তু ইচ্ছা আছে এটাকে আরও দীর্ঘায়িত করার।

এর আগে একটি দাতব্য সংস্থার ‘শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবে কাজ করছেন তাহসান খান। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) শুভেচ্ছা দূত হয়েছেন তিনি।

দেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরুর দুই বছর পেরুনো ইভ্যালি প্রথমবারের মতো শুভেচ্ছা দূত (ফেস অব ইভ্যালি) হিসেবে কাউকে বেছে নিলো।

অর্থসূচক/আরএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.