আস্থা ভোটে টিকে গেলেন ইমরান খান

সিনেট নির্বাচনে একটি বড় ধাক্কার পর পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিরোধীদের বর্জন ও প্রতিবাদের মধ্যেই শনিবার (০৬ মার্চ) এই ভোটের আয়োজন করা হয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, আস্থা ভোটে ইমরান খানের জয়ের জন্য ১৭২টি ভোটের প্রয়োজন ছিল, তবে তিনি পেয়েছেন ১৭৮টি ভোট। সংসদের স্পিকার এই ফলাফল ঘোষণা করেন।

বিরোধ দল পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নির্বাচন বয়কট করায় ইমরানের জয় পাওয়া সহজতর হয়েছে। নির্বাচন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি এক পয়েন্ট বিশিষ্ট একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংসদের স্পিকার আসাদ কায়সার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে বলেন, ইমরান খান দু’বছর আগে ১৭৬ ভোট পেয়ে এই পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আজ তিনি ১৭৮টি ভোট নিশ্চিত করলেন।

গত বুধবার সিনেট নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির কাছে হেরে যান বর্তমান অর্থমন্ত্রী ও ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্য আবদুল হাফিজ শেখ। এরপর বিরোধী দল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরানের পদত্যাগ দাবি করে। কিন্তু ইমরান খান সংসদের নিম্ন কক্ষে আস্থা ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ভোট চলাকালে পার্লামেন্টের বাইরে পিটিআই সমর্থকদের ইমরান খানের সমর্থনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি, আহসান ইকবাল, মুসাদ্দিক মালিক ও খুররাম দস্তগিরসহ পিএমএল-নওয়াজের নেতৃবৃন্দ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করেন।

আব্বাসি বলেন, সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী আস্থা ভোটের আহ্বান জানাতে পারেন না। এই ক্ষমতা একমাত্র প্রেসিডেন্টের, যদি তিনি মনে করেন প্রধানমন্ত্রী আইনপ্রণেতাদের আস্থা হারিয়েছেন, তবে তিনি ভোটের আয়োজন করতে পারেন।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.