স্পিনারদের কৃতিত্বে সিরিজে ফিরল শ্রীলঙ্কা

স্পিনারদের কৃতিত্বে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৩ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের ফলে সিরিজে ১-১ এর সমতাও ফিরিয়েছে তারা। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। নির্ধারিত ২০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ১৬০ রান। ১৬১ রান তাঁড়া করতে নেমে ওয়ানেন্দু হাসারাঙ্গা ও লাষ্কান সান্দাকানের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র ১১৭ রানে সব উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

পেসার একজন কমিয়ে লঙ্কানরা দলে নেয় বাড়তি স্পিনার। লেগ স্পিনার হাসারাঙ্গার ও চায়নাম্যান বোলার সান্দাকানের শিকার করেন তিনটি করে উইকেট। পাশাপাশি ব্যাট হাতে ছোট্ট গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে ম্যাচের সেরা অবশ্য হাসারাঙ্গাই। ওভারে ছয় ছক্কা ও ৪ ওভারে ৬২ রানের হতাশা ভুলে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন আকিলা ধনাঞ্জয়া। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে তিনি নেন ১ উইকেট। আরেক স্পিনার দানুশকা গুনাথিলাকাও নেন জেসন হোল্ডারের মূল্যবান উইকেট।

শেষ পর্যন্ত জয়টা বেশ বড় ব্যবধানে হলেও ম্যাচের মধ্যবিরতিতে ২০-২৫ রান কম হয়েছিল লঙ্কানদের। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৯৪ রান হলেও, শেষ পর্যন্ত তারা থেমেছে ১৬০ রানে। দানুশকা গুনাথিলাকা ও তরুণ পাথুম নিসাঙ্কা লঙ্কানদের শুভ সূচনা এনে দেন। পাওয়ার প্লেতে দুজন তোলেন ৫৬। ডোয়াইন ব্রাভোর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে নিসাঙ্কা রান আউট হন ২৩ বলে ৩৭ রান করে।

ওই ওভারেই দারুণ এক স্লোয়ারে ব্রাভো ফিরিয়ে দেন গুনাথিলাকাকেও।৪২ বলে ৫৬ করে ফেরেন এই বাঁহাতি। এরপর তিন অভিজ্ঞ দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও থিসারা পেরেরা ব্যর্থ আবারও। ১০ ওভারের পর্যন্ত মেরে খেললেও এর পরের ৭ ওভারে কোন বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারেননি লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য ১৮তম ওভারে আশেন বান্দারার ছক্কায় কাটে সেই খরা। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা এই তরুণ আউট হয়ে যান ১৯ বলে ২১ রান করে।

শ্রীলঙ্কা ১৬০ পর্যন্ত যেতে পেরেছে মূলত হাসারাঙ্গার ক্যামিওতে। তিন বাউন্ডারিতে তিনি ১১ বলে ১৯ করে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিবীয়ান বোলারদের মধ্যে ২ উইকেট নেন ব্রাভো। আর ১টি করে উইকেট শিকার করেন হোল্ডার এবং ওবেড ম্যাককয়।

লক্ষ্য তাঁড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের শুরুতেই আঁটকে রাখার দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন ধনাঞ্জয়া। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম ৫ ওভারে ক্যারিবীয়ানরা নিতে মাত্র ২৫ রান। তাতে ৩ ওভার বল করে ধনাঞ্জয়া দেন মাত্র ৬ রান, শিকার করেন এভিন লুইসের উইকেট। থিসারার এক ২০ ওভারে ২০ রান নিয়ে লেন্ডল সিমন্স ও ক্রিস গেইল তবু পাওয়ার প্লের শেষে কিছুটা রান যোগ করেন।

এরপরই শুরু হয় হাসারাঙ্গার বোলিং। এক ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন ১৬ রান করা গেইল ও ২১ রান করা সিমন্সকে। এই দুজন আউট হওয়ার পর আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। অধিনায়ক পোলার্ড একটি ছক্কা মারলেও ১৫ বলে করেন ১৩ রান। দশ নম্বরে নামা ম্যাককয় শেষ দিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্য থেকে ৪৩ রান দূরে থেকে সব কটি উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজ নির্ধারণী তৃতিয় ম্যাচে সোমবার (৮ মার্চ) মুখোমুখি হবে তারা।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.