অঙ্কুশের ব্যক্তিগত সহকারীর আত্মহত্যা

কলকাতার অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার ব্যক্তিগত সহকারী পিন্টু দের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ২ মার্চ রাতে পিন্টুর কাকুড়গাছির নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। পিন্টুর মরদেহ উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না-তদন্ত করা হয়। বুধবার (৩ মার্চ) সকালে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম এ খবর প্রকাশ করেছে।

পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, নেটমাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন পিন্টু। প্রাথমিকভাবে আমরা এ সংক্রান্ত অনেক তথ্যই হাতে পেয়েছি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

টলিপাড়ায় পিন্টু পরিচিত ছিলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার ছায়াসঙ্গী ‘বাপ্পাদা’ হিসেবে। ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল পিন্টুর বাড়ি যান তারা। পিন্টুর মৃত্যুর খবর ইনস্টাগ্রামেও তারা ভাগ করে নিয়েছেন। অঙ্কুশ বলেন, ‘খুবই সৎ মানুষ ছিলেন বাপ্পাদা। তাই যখনই টাকা চেয়েছেন, দিয়ে দিয়েছি। কারণ আমি জানতাম, বাপ্পাদা খারাপ কাজ করতেই পারেন না। টাকা চাওয়ার আসল কারণ বুঝতে পারলে এভাবে অসময়ে চলে যেতে দিতাম না।’

পিন্টুর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, গত দেড় মাসে কয়েক দফায় মোট ৩০ হাজার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে অজ্ঞাত কাউকে পাঠানো হয়েছে। এর জেরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পিন্টু। অঙ্কুশ হাজরা বলেন, ‘আমি ঘুণাক্ষরেও এসব টের পাইনি। কী কারণে হুমকি বার্তা দেওয়া হতো তা-ও জানি না। তবে ধার শোধ করার কথা বলে আমার কাছ থেকে কয়েকবার টাকা নিয়েছিল।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.