রক্তাক্ত মিয়ানমার, পুলিশের গুলিতে নিহত আরও ৯

সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও একটি রক্তক্ষয়ী দিন দেখল মিয়ানমার। এদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিতে অন্তত ৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

রয়টার্স এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের মান্দালে, ইয়াঙ্গুন ও মাইংয়ান শহরসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি, স্টান গ্রেনেড ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভ দমনে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়।

এছাড়া দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের একটি প্রতিবাদস্থলে সংঘর্ষে দুই জন নিহত হন বলে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও গণামাধ্যম জানিয়েছে। বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে পুলিশের গুলিতে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ঘটনাস্থলে থাকা একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।

মোনিওয়া গ্যাজেট জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় এ শহরটিতে পুলিশের গুলিতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। মধ্যাঞ্চলের আরেক শহর মায়েনগিয়ানে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ছাত্রনেতা মোয়ে মিন্ট হেইন (২৫) জানিয়েছেন। সংঘর্ষে মিন্ট হেইন নিজেও আহত হয়েছেন। তার পায়ে আঘাত লেগেছে।

টেলিফোনে রয়টার্সকে তিনি বলেন, তারা আমাদের ওপর গুলি করেছে। একজন নিহত হয়েছেন, তার বয়স কম, একজন কিশোর, তার মাথায় গুলি লেগেছে।

ইয়াঙ্গনে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বলে বার্তা সংস্থা মিয়ানমার নাও জানিয়েছে। যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে প্রতিরোধ আন্দোলনের বেশ কয়েকজন নেতাও আছেন বলে একজন আন্দোলনকারী জানিয়েছেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির নির্বাচিত সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়। ক্ষমতা দখল করে সামরিক সরকার এনএলডির শীর্ষ নেতা অং সান সু চিসহ প্রেসিডেন্ট ও সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীদের আটক করে। অভ্যুত্থানের কয়েক দিন পর থেকেই দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, চিকিৎসক, শিক্ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ সব স্তরের মানুষ। তাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সামরিক জান্তা সরকার। অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে কমপক্ষে ৪০ জন মারা গেছেন। এছাড়া কয়েক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.