চাপের মুখে নির্বাচনে রাজি আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

আজারবাইজানের সঙ্গে চুক্তির পরেই আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর উপর পদত্যাগ করার জন্য প্রবল চাপ আসছিল। বিরোধীরা তো বটেই, সাধারণ মানুষের একটা অংশ মনে করেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি পাশিনয়ান। তাই নাগর্নো-কারাবাখ থেকে সম্পূর্ণ সরে আসতে হয়েছে আর্মেনিয়ার সেনাকে। সেখানকার আর্মেনিয়রা অনেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

রাজনৈতিক সংকট এড়াতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছিলেন। তাতে কাজ হয়নি। গত সপ্তাহে সিনিয়ার সেনা কর্তাদের সঙ্গে আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মতবিরোধ সামনে আসায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। পাশিনয়ান একজন সেনা জেনারেলকে বরখাস্ত করেছিলেন। তার অভিযোগ ছিল, তিনি অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করছিলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সেই সিদ্ধান্ত মানেননি। ফলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে।

এই অবস্থায় সোমবার নিজের সমর্থকদের আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যদি পার্লামেন্ট রাজি হয়, তাহলে তিনি নির্বাচনের জন্য তৈরি। তার ২০ হাজার সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে নির্বাচনী ফলাফলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ জানাতে গিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাদের স্মরণেই জনসভা ছিল। সেখানে তিনি বলেন, চলুন আমরা নির্বাচনেই যাই। দেখব, মানুষ কার ইস্তফা চাইছে। তিনি অক্টোবরে ভোটে যেতে চান। প্রেসিডেন্ট নিজের ক্ষমতার প্রয়োগ করে এই ব্যবস্থা করতেই পারেন। সূত্র: এপি, এএফপি

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.