আল জাজিরার বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার বিরুদ্ধে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মিশিগান রাজ্যের ফেডারেল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ।

পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বী আলম বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। এরই মধ্যে মামলাটি শুনানীর জন্যে গৃহীত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।

মামলায় বিবাদী করা হয়েছে আল জাজিরা ইংলিশ, আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক, ডেভিড বার্গম্যান, কনক সরোয়ার, ইলিয়াস হোসেনসহ কয়েকজনকে।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সোমবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় একটি পার্টি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বী আলম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. মাঈন উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা।

ড. রাব্বী আলম বলেন, অনেকদিন ধরেই আল জাজিরা অপসাংবাদিকতা করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি এই গণমাধ্যমটি মিথ্যা, তথ্যপ্রমাণহীন নিম্নমানের একটি প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে, যা কিনা তাদের রাজনৈতিক ভাষ্যকার ডেভিড বার্গম্যানের রাজনৈতিক পক্ষপাতের প্রতিফলন।

তিনি আরও বলেন, আল জাজিরা বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা সংবাদ সম্প্রচার করে আসছে। আমরা কেবল তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যানই করছি না, আইনি উপায়ে তার মোকাবিলা করার ঘোষণা দিচ্ছি।

সম্প্রতি মিশিগানের ফেডারেল কোর্টে মামলাটি করা হয়। পরে ২২ ফেব্রুয়ারি কোর্ট মামলাটিকে ডকেটে তুলেছে। এর ফলে এ নিয়ে শুনানীসহ পরবর্তী অগ্রগতির আশা করছেন তিনি। এই মামলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত আল জাজিরার কার্যালয়কে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে চান উল্লেখ করে ড. রাব্বী বলেন, তাছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আল জাজিরাকে বয়কট ও বাংলাদেশের যে সম্মানহানী হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায় করাও তাদের উদ্দেশ্য।

সংবাদ সম্মেলনে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে তথ্যের উৎস হিসেবে যাদের বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কেবল তাই নয়, অনেকদিন ধরে আল জাজিরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির হয়ে কাজ করছে। এ কারণে আল জাজিরা কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং সঠিক তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন করার আহবান জানানো হয়েছে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.