বাইডেনের নির্দেশে সিরিয়ায় বোমা হামলা

প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন এই প্রথম অন্য কোন দেশের উপর আক্রমণের নির্দেশ দিলেন। ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি ও দূতাবাসে রকেট হামলার পর তিনি এই নির্দেশ দেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সিরিয়ায় ইরানপন্থি সন্ত্রাসীদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। সীমান্তের কন্ট্রোল পয়েন্টে সন্ত্রাসীদের বেশ কিছু পরিকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। তাদের এই আক্রমণের ফলে একটা বার্তা দেয়া সম্ভব হয়েছে। আক্রমণের আগে বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে কথাও বলা হয়েছে। সামরিক প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি কূটনৈতিক স্তরেও আলোচনা চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

পেন্টাগন বলেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল ইরানপন্থি দুই মিলিশিয়া কাতাইব হেজবোল্লাহ এবং কাতাইব সঈদ আল-সুহাদা। তাদের দাবি, এটা হলো সমানুপাতিক সামরিক প্রতিক্রিয়া। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালানো হয়। তাতে একজন কন্ট্রাক্টরের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত। তারপর বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করেও রকেট হামলা হয়।

পেন্টাগনের দাবি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকা ও মিত্র দেশগুলোর সেনাকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। আবার তিনি পূর্ব সিরিয়া ও ইরাকের পরিস্থিতি খারাপ হোক তাও চান না। সবদিক বিবেচনা করে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, সাতটি ৫০০ পাউন্ডের বোমা কয়েকটি বাড়ির উপর ফেলা হয়েছে। সিরিয়া-ইরাক সীমান্তে এই বাড়িগুলো থেকেই অস্ত্র পাচার করা হতো এবং সন্ত্রাসীরা ইরাকে ঢুকত বলে অভিযোগ। পেন্টাগন আরো বড়সড় সামরিক অভিযান চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু বাইডেন ছোট করে আক্রমণের পক্ষে মত দেন।

পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইরাকে মার্কিন সেনা ঘাঁটি ও দূতাবাসে যারা রকেট হামলা চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিরিয়ার ইরানপন্থি নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, মার্কিন হানায় একজন মারা গেছেন, আহত বহু। সূত্র: এপি, রয়টার্স, এএফপি

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.