বাংলাদেশে ‘ফ্রেন্ড ইন নিড’ স্বীকৃতি পেলো এমিরেটস

করোনার বৈশ্বিক মহামারিকালে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রদর্শিত অব্যাহত অঙ্গিকারের জন্য ‘ফ্রেন্ড ইন নিড’ বা ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ স্বীকৃতি লাভ করেছে এমিরেটস এয়ারলাইন। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এভিয়েশন ও ভ্রমণ বিষয়ক প্রকাশনা ‘দি বাংলাদেশ মনিটর’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এই স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত নেতৃস্থানীয় ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে এমিরেটসের কান্ট্রি ম্যানেজার মোহামেদ আলহামমাদি এয়ারলাইনের পক্ষ থেকে স্কীকৃতি স্মারক গ্রহণ করেন।

সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদানের পর অনতিবিলম্বে যে কিছু সংখ্যক এয়ারলাইন পুনরায় বাংলাদেশে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে এমিরেটস তাদের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে এয়ারলাইনটির নিয়মিত যাত্রী পরিবহন সেবা শুরু হয় গত বছরের ২৪ জনু থেকে।

এছাড়াও, মার্চ থেকে জুন ২০২০ সময়কালে বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে এমিরেটস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সময়ে এমিরেটসের কার্গো পরিবহন শাখা-এমিরেটস স্কাইকার্গো তাদের ট্রেড-লিংক অক্ষুন্ন রেখে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ থেকে মেডিক্যাল সামগ্রীসহ বিভিন্ন জরুরি সামগ্রী পরিবহণেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর থেকেই ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে যাত্রীদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করে এমিরেটস। এর মধ্যে রয়েছে সকল যাত্রীদের সৌজন্যমূলক হাইজিন কিট প্রদান (মাস্ক, গ্লাভস, জীবানুনাশক); পিপিই পরিবহন করে কেবিন ক্রদের যাত্রী সেবা প্রদান; উড়োজাহাজের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা ও অন্যান্য। ঘন ঘন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি উড়োজাহাজের প্রতিটি টয়লেট ৪৫ মিনিট অন্তর জীবানুনাশক কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় এমিরেটস। ‘সেফ ট্রাভেল ব্যারোমিটার’ কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রে এমিরেটসকে সর্বাধিক নিরাপদ এয়ারলাইন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

আকাশ ভ্রমণে যাত্রীদের আস্থা ফিরেয়ে আনতে অন্যতম প্রথম এয়ারলাইন হিসেবে এমিরেটস গ্রাহকদের জন্য কোভিড-১৯ বীমা সুবিধা চালু করে, যার সঙ্গে পরবর্তীতে যুক্ত হয় সম্পূর্ণ মাল্টি- রিস্ক বীমা সুবিধা। বুকিং এর ক্ষেত্রে যথেষ্ট নমনীয় নীতি প্রদর্শন করে এয়ারলাইনটি- অনেক শর্তাবলী শিথিল করা হয়, যাতে যাত্রীরা পূর্ণ আস্থা ও মানসিক শান্তি নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন।

এমিরেটস ১৯৮৬ সালে ঢাকায় তাদের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করার পর থেকে গত ৩৫ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশে ও এর জনগনকে নিরাবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। বর্তমানে এমিরেটস ঢাকায় সপ্তাহে ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এবং যাত্রীরা ভায়া দুবাই সুবিধাজনক সংযোগ নিয়ে বিশ্বের ৯০টির অধিক গন্তব্যে ভ্রমণ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৪ মার্চ থেকে ঢাকায় ফ্লাইট সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করছে এমিরেটস, তখন সপ্তাহে চলাচল করবে ১৬টি ফ্লাইট।

যে সকল দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থা করোনা মহামারির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়কালে বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ও অত্যান্ত প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করেছে তাদের সম্মান জানানো জন্য দি বাংলাদেশ মনিটর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অর্থসূচক/কেএসআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.