পিলখানার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি। তাদের পক্ষে সামরিক সচিবদ্বয় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) বনানীর সামরিক কবরস্থানে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম বনানীর সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী একই যায়গায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তিন বাহিনীর প্রধান এবং শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজন ও সহকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের সম্মানে স্যালুট দেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত করার দাবি জানান স্বজনরা। বয়স্ক স্বজনরা বিচার দেখে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়কদের বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তারা।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিপথগামী বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানরা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.