‘প্রয়োজনে ঋণ খেলাপিদের গ্রেফতার করে আদালতে আনা হবে’

আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে ৫ লাখ টাকা এবং তার ওপরে ঋণ খেলাপি ১৪৩ জনকে আজ সশরীরে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল। তবে আজ আদলতে হাজির হয়েছে ৫১ জন ঋণ খেলাপি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আজ যারা উপস্থিত হননি। তারা হাজির হওয়ার জন্য আর একবার সুযোগ পাবেন, তারা যদি হাজির না হন প্রয়োজনে তাদের গ্রেফতার করে আদালতে আনা হবে।’

আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালতে ঋণখেলাপিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মোস্তাক আহমেদ।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি অর্থের ঋণখেলাপি ২৮০ ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। আজ ও বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের পর্যায়ক্রমে আদালতে হাজির হয়ে ঋণ পরিশোধের বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, নানা ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও পরিচালকদের অর্থ আত্মসাতের কারণে আমানতকারীদের অর্থ ফেরতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০১৯ সালের ১০ জুলাই পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ন ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অবসায়ন সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত ঋণখেলাপিদের তলব করেন।

পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে অনুমোদন পায় ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর। এরপর ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ প্রতিষ্ঠানে দুই হাজার কোটি টাকার আমানত ছিল। এই টাকা থেকে পিপলস লিজিং এক হাজার ১৩১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে যার মধ্যে ৭৪৮ কোটি টাকা খেলাপি হয়। খেলাপি ঋণের মধ্যে ৫৭০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট এবং বিদেশে পাচারের অভিযোগ নিয়ে কানাডায় পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার হালদারও (পিকে হালদার) পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস এর গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন।

অর্থসূচক/এনএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.