বোল্টদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া

শুরুটা ভালো করতে না পারলেও ডেভন কনওয়ের অপরাজিত ৯৯ রানের ওপর ভর করে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর টিম সাউদি, ইশ সৌদি ও ট্রেন্ট বোল্টদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাত্তা পায়নি অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। ফলে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অজিরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১৩১ রানে। তাতে ৫৩ রানের জয় নিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো কেন উইলিয়ামসনের দল।

জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। কিউই পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিল অজি ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ওভারে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নেয়ার পর দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত জশ ফিলিপ।

এদিন থিতু হতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল-মার্কাস স্টয়নিসরাও। ম্যাক্সওয়েল ফেরেন ১ রান করে আর স্টয়নিস করেছেন ১১ বলে ৮ রান। মাত্র ১৯ রানে ৪ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রতিরোধ গড়েছিলেন মিচেল মার্শ। তাতে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো অস্ট্রেলিয়াকে। তবে ৩৩ বলে ৪৫ রান করে মার্শ ফিরে গেলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ দিকে অ্যাগার ২৩, রিচার্ডসন ১১ ও অ্যাডাম জাম্পা ১৩ রান করলেও দলের জয় নিশ্চিত করতে পারেননি। কিউইদের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন সৌদি, ২টি করে বোল্ট, সাউদি আর একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাইল জেমিসন ও মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও টিম সেইফার্ট। ইনিংসের প্রথম ওভারে ড্যানিয়েল সামসের বলে অ্যাস্টন অ্যাগারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন গাপটিল। ‍এদিন থিতু হতে পারেননি আরেক ওপেনার সেইফার্টও। মাত্র ১ রানে করে ঝাই রিচার্ডসনের বলে আউট হন তিনি।

অধিনায়ক উইলিয়ামসন ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। মাত্র ১২ রানে করে সামসের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটেন তিনি। মাত্র ১৯ রানে ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস। তাঁদের দুজনের ৭৪ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামলায় কিউইরা। ৩০ রান করে ফিলিপস ফিরলেও অপর প্রান্তে ব্যাট হাতে অজি বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাচ্ছিলেন কনওয়ে। শেষ দিকে জেমস নিশাম ১৫ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন।

মাত্র ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কনওয়েকে। দলের যখন ৩ বল বাকি তখন সেঞ্চুরির জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিল ১২ রান। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মারার পর পঞ্চম বলে চার মারেন। তাতে তিনি পৌঁছে যান ৯৮ রানে। সেঞ্চুরি করতে তখন শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। শেষ বলে পয়েন্টের মাঝ দিয়ে ঠেলে দিলেও এক রানের বেশি নিতে পারেননি। তাতে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরির করার সুযোগ পেয়েও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.