মান্নার অপরিপূর্নতা ও চাহিদা এখনো সমানভাবেই রয়ে গেছে: শেলী মান্না

বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার নায়ক মান্না। যিনি তার বাস্তুবধর্মী অভিনয় দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের মন। প্রিয় এই নায়ক চলে যাওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হল আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৮ সালের এ দিনে তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

গুনী এই নায়কের স্ত্রী শেলী মান্না তার স্বামীকে স্মরণ করে অর্থসূচককে বলেন, মান্না মারা যাওয়ার ১৩ বছর হলো। এই দীর্ঘ সময় পরও তার ভক্ত, চলচ্চিত্রের স্বজনরা এখনো মান্নাকে ভুলতে পারছেন না। আর এই ভুলতে না পারার কারণ হলো চলচ্চিত্রের বর্তমান যে অবস্থা তার জন্য। যদিও এ অবস্থার উত্তোরণ হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু হয়নি।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায় মান্নাকে নিয়ে যারা সিনেমা বানাতো তাদের মধ্যে সে আগ্রহ নেই। মান্না কোনো প্রযোজককে ভোগায়নি। সব মিলিয়েই মান্নার অপরিপূর্নতা ও চাহিদা সমানভাবেই রয়ে গেছে। যদি আমাদের এই চলচ্চিত্রে মান্নার পরে অন্য আরো অনেকেই আসতো তাহলে হয়তো মান্নার শূন্যতাটা কম অনুভব হতো।

মৃত্যুর পর টাঙ্গাইলে পারিবারিক কবরস্থানে মান্নাকে দাফন করা হয়। দাফনের পর থেকেই কবরটি বাঁধানো হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে তাদের পরিবারকে। সম্প্রতি গুজব ছড়িয়েছে, মান্নার কবর নিশ্চিহ্ন করে জায়গাটি ভরাট করে ফেলা হয়েছে। প্রয়াত এই অভিনেতার কবর নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তার স্ত্রী শেলী মান্না।

তিনি বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে শুনছি ও দেখছি, অনেকেই বলছেন আমরা নেতিবাচক উদ্দেশ্য নিয়ে মান্নার কবর ভরাট করেছি। কিন্তু কেন ভরাট করা হয়েছে, সেটা তারা জানেন না। কারণ বৃষ্টি নামলে সেখানে পানি জমতো। যে কারণে আমরা পারিবারিকভাবে কবরস্থানটি ভরাট করিয়েছি। এখন আলাদাভাবে কবরের কিছু নেই। আমরাই শুধু জানি কার কবর কোথায়। আগামী দুই মাসের মধ্যে আমরা সংরক্ষণের কাজ শুরু করবো।

শেলীর মতে, মান্নার ভক্তদের মধ্যে অনেক রকম পাগলামি আছে। তারা অনেকেই খুব আবেগপ্রবণ। এসবই প্রিয় তারকার প্রতি তাদের ভালোবাসার প্রকাশ। এর মাঝে অনেকেই কেবল সমালোচনা করার জন্য আসেন।

তিনি বলেন, এখন মান্নার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর মতো অবস্থায় নেই। দেখা যাবে, এই ভক্তরা এসে কবরটি খুঁজে না পেয়ে আরেক জায়গায় ফুল দিয়েছেন। সেটার ছবি তুলে আবার কেউ কেউ নতুন করে গুজব ছড়াবেন। এ নিয়ে উল্টাপাল্টা খবর প্রকাশিত হবে, যা নতুন করে আলোচনায় আসবে। এই জন্য আমি মান্নার ভক্তদের অনুরোধ করবো, এই মুহূর্তে মান্নার কবরের আলাদা কোনও মার্কিং দেয়া নেই। আপনারা অনেকেই এসে হতাশ হবেন। অনুরোধ করবো এই বছরটা কবরে না গিয়ে যার যার জায়গা থেকে এলাকার কবর জিয়ারত করে মান্নার আত্মার জন্য দোয়া করবেন।

এদিকে আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্না স্মরণে বাদ আসর রাজধানীর বসুন্ধরার বাসায় দোয়া ও কোরআন খতমের আয়োজন করেছেন মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না। এছাড়া মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কৃতাঞ্জলি কথাচিত্র থেকেও আলাদাভাবে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

অর্থসূচক/এএ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.