ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ের সাথে বিএসইসির বৈঠকে

পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) সাথে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিএসইসির সম্মেলনকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভার এক পর্যায়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামও কিছু সময়ের জন্য এতে অংশ নেন। সভায় ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তাসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক এবং মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমও এতে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বৈঠকে একাধিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের প্রদর্শিত মুনাফার আলোকে শেয়ারের মূল্য-আয় অনুপাত (Price-Earnings Ratio-PE Ratio) নির্ধারণ করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যের ভিত্তিতে পিই রেশিও হিসাব করা হলে বাজারে কারসাজির সুযোগ বেড়ে যায় বলে তারা মতামত দেন।

ব্যাংক-এনবিএফআই এর প্রতিনিধিরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারধারণ বিধিমালা সংশোধন করে ঘোষণা বহির্ভূত শেয়ার ধারণের সীমা বাড়ানোর সুপারিশ করেন। এই আইন অনুসারে, কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশ বা তার বেশি পরিমাণ শেয়ার ধারণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োকারীকে তা ঘোষণা করতে হয়। বৈঠকে এই সীমা ২৫ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।

কয়েকটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আলোচনা করার অনুরোধ জানানো হয়। বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ওই সীমার কাছাকাছি থাকায় নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সংকুচিত হয়ে গেছে বলে জানায় তারা। উল্লেখ, বিদ্যমান বিধিমালা অনুসারে, একটি ব্যাংক তার রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে ব্যাংক ও এনবিএফআই এর প্রতিনিধিদেরকে আগামী বাজেটের জন্য ৩টি করে প্রস্তাবনা বিএসইসির কাছে জমা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিএসইসি এসব প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করে পাঠাবে।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.