আশা জাগিয়ে হতাশ করল বাংলাদেশ

জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড, পাল্টাতে হবে ইতিহাসও। কারণ এর আগে সর্বোচ্চ ২১৭ পর্যন্ত তাড়া করেছে বাংলাদেশ তাও ২০০৯ সালে। এবার লক্ষ্যটা আরেকটু বেশি হলেও দুই ওপেনার শুরুর ভিতটা গড়ে দেন। শুরুটা দুর্দান্ত করলেও ব্যাটসম্যানদের অযথা শট খেলার তাড়ায় ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে থাকে তাদের নাগালের বাইরে। তার পরেও শেষ বিকালে আশা জাগিয়ে ১৭ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে দুই ম্যাচের টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মুমিনুল হকের দল।

চতুর্থ দিন ৩ উইকেটে ৪১ রান নিয়ে খেলতে নেমে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল গুটিয়ে যায় ১১৭ রানে। জবাবে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দেয় তামিম-সৌম্য জুটি। শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের বিপক্ষে হাত খুলে খেলতে থাকেন তামিম। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য সঙ্গীতে শুধু সাপোর্ট দিয়ে গেছেন। দ্রুত রান তুলে দলকে ৫০’র ওপর নিয়ে যান তামিম। প্রতিপক্ষের বোলাররা চাপে রাখলেও দলীয় ৫৯ রানে ১৩ রান কয়রা সৌম্যকে বিদায় করেন অনিয়মিত স্পিনার ক্রেইগ ব্রাথওয়েট।

এরপর অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। কিন্তু মাইলফলকে পৌঁছে তিনিও উইন্ডিজ দলপতিকে উইকেট ছুঁড়ে দেন। ২ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে আরও বিপদে ফেলেন নাজমুল হোসেন। রাখিম কর্নওয়ালের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। ১১ রান করা এই ব্যাটসম্যানের বিদায়ে পর চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

এরপর মুশফিক-মুমিনুল মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিল ঠিকই। কিন্তু দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার হওয়ার পরই ওয়ারিকানের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন মুশফিক। অথচ মুশফিক রিভিউ নিয়েছিলেন এই আশায় যে বল তার ব্যাটে লাগেনি। কিন্তু মুশফিক নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি বল ব্যাটে লেগেছে তার! মুশফিক ফেরেন ১৪ রানে। এরপর বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান মিঠুন। ১০ রান করে কর্নওয়ালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন!

এমন পরিস্থিতিতে বড় জুটি স্বস্তি ফেরাতে পারতো বাংলাদেশের। মুমিনুল-লিটন প্রতিরোধ গড়ে আশাও দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩২ রানের জুটি ভাঙে মুমিনুলের বিদায়েই (২৬)। ওয়ারিকানের বলে ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন। বল ইনসাইড এজ হয়ে জমা পড়ে ব্যাকওয়ার্ড শর্ট লেগে থাকা কর্নওয়ালের হাতে! লিটন অবশ্য ফিরেছেন কিছুক্ষণ পর। অযথা বাইরের বল খেলতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন ২২ রানে! ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে তার পর যোগ দেন তাইজুল। কর্নওয়ালের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। নাঈমও ফিরে যান দ্রুত। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে মেহেদী মিরাজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন শেষ বিকালে। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। মিরাজ ওয়ারিকানের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে জয়ের সম্ভাবনা তখনই শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.